ছন্নছাড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ছন্নছাড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ছন্নছাড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য কবিতাটি সম্পর্কে বিষদ তথ্য লাভ করতে পারবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
ছন্নছাড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তরঃ
১) অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখাে।
উঃ অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা দুটি বইয়ের নাম হল—‘বেদে’ এবং ‘সারেঙ।
২) তিনি কোন পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন ?
উঃ তিনি কল্লোল পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।
৩) কবি প্রথমে গাছটিকে কেমন অবস্থায় দেখেছিলেন ?
উঃ কবি প্রথমে গাছটিকে শূন্যের দিকে এলােমেলােভাবে কতকগুলি শুকনাে কাঠির কঙ্কাল ওঠানাে গাছের প্রেতচ্ছায়া রূপে দেখেছিলেন।
৪) ‘ড্রাইভার বললে, ওদিকে যাব না’- ওদিকে না যেতে চাওয়ার কারণ কী ?
উঃ ওদিক দিয়ে গেলেই রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া কতকগুলি বেকার ছােকরা গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইবে। তাই ডাইভার ওদিক দিয়ে যেতে চায়নি।
৫) ‘তাই এখন পথে এসে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে’- সড়কের মাঝখানে, পথে এসে দাঁড়ানাের কারণ কী ?
উঃ বেকার যুবকদের আড্ডা দেওয়ার জন্য থাকা মধ্যবিত্ত বাড়ির এক চিলতে ফালতু রকটি লােপাট হয়ে যাওয়ায় তারা পথে এসে দাঁড়িয়েছে।
৬) আমি বললুম, না ওখান দিয়েই যাব, কবির ‘ওখান দিয়েই যেতে চাওয়ার কারণ কী ?
উঃ কবির ‘খান’ দিয়ে যাওয়ার কারণ হল—ওখান দিয়ে গেলে তাঁর শর্টকাট হয়।
৭) ‘ওই দেখতে পাচ্ছেন না ভিড় ? ওখানে কীসের ভিড় ?
উঃ এক বেওয়ারিশ ভিখারি গাড়ি চাপা পড়ায় ওখানে মানুষের ভিড় জমেছে।
৮) ‘কে সে লােক ?’ –‘লােক’-টির পরিচয় দাও।
উঃ লােকটি সহায়সম্বলহীন এক বেওয়ারিশ ভিখিরি। সে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে।
৯) ‘চেঁচিয়ে উঠল সমস্বরে’- কী বলে তারা সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠল ?
উঃ দুর্ঘটনাগ্রস্ত ভিখিরিটির দেহে প্রাণ আছে, প্রাণ আছে বলে তারা সমস্বরে চিৎকার করে উঠেছিল।
১০) ‘আমি নেমে পড়লুম তাড়াতাড়ি’- কবি তাড়াতাড়ি নেমে পড়লেন কেন ?
উঃ কবি ভিখিরির দেহের রক্তের দাগ থেকে ভদ্রতা ও শালীনতাকে বাঁচানাের জন্য তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন।
১১) ‘ফিরে আসতেই দেখি’- ফেরার পথে কবি কী দেখতে পেলেন ?
উঃ ফেরার পথে কবি দেখলেন, গলির মােড়ে শুকনাে গাছটি সােনালি কচি পাতায়, গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলে, ফুলের সুবাসে-গন্ধে আর রং-বেরঙের পাখিতে ভরে গিয়েছে।
১২) ‘অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে দেখলুম’- কবির চোখে অবিশ্বাসের ঘাের কেন ?
উঃ আপাত প্রাণহীন, শুষ্ক, নীরস, রুক্ষ গাছের মধ্যে লুকোনাে অন্তহীন সজীব প্রাণের প্রকাশ আর কঠোরতার বিপরীতে মাধুর্যের ব্যাপক আয়ােজন দেখে কবির চোখে অবিশ্বাসের ঘাের লেগে যায়।
১৩) ও’ই পথ দিয়ে জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে’- কবির যাত্রাপথের অভিজ্ঞতার বিবরণ দাও।
উঃ কবির যাত্রাপথের মোড়ে পড়ে একটা গাছ। গাছ বললে ভুল হয় কারণ ওটা গাছের প্ৰেতছায়া, আঁকাবাঁকা শুকনো কতকগুলি কাঠি কঙ্কাল মাত্র। শূন্যের দিকে এলোমেলো তুলে দেওয়া রুক্ষ, রুষ্ট, রিন্তু, জীর্ণ; যার লতা নেই, পাতা নেই, ছালবাকল নেই। কোথাও এক আঁচড় সবুজের প্রতিশ্রুতি বা একবিন্দু সরসের সম্ভবনাও নেই।
তিনি আরও দেখেছিলেন দুরে রাস্তার ধারে একদল কর্মহীন ছোকরার জটলা ও গাড়ি চাপা পড়া এক বেওয়ারিশ ভিখিরেকে। তারপর তারা সেই দেহটিকে তুলে আনল গাড়িতে। তখনও তার প্রাণ আছে একথা ভেবেই তারা উল্লাসে ফেটে পড়ল। গায়ে সেই ভিখিরির রক্ত লেগে যেতে পারে তাই ভদ্রতা এবং শোভনতা রক্ষা করতে কবি নেমে গেলেন গাড়ি থেকে। ফেরার পথে কবির চোখে পড়ল সেই পত্রহীন গাছটিকে সেই গাছটি এখন সোনালি সবুজ পাতায় ভরে গেছে এবং তার ডালে উড়ে এসে বসেছে নানা রঙের পাখি।
১৪) ‘গলির মোড়ে একটা গাছ দাঁড়িয়ে। গাছ না গাছের প্রেচ্ছায়া’- একটি গাছ দাঁড়িয়ে আছে বলেও কেন পরের পত্তিতে ‘গাছের প্রেতচ্ছায়া’ বলা হয়েছে তা বুঝিয়ে দাও।
উঃ গলির মোড়ে যেটি দাঁড়িয়ে ছিল সেটা নিঃসন্দেহে গাছ কিন্তু সেটা কেবল আকৃতিতে, প্রকৃতিতে নয়। একটা গাছ বলতে বোঝায় প্রচুর ডালপালা সমৃদ্ধ সবুজ প্রাণের প্রাচুর্য। কিন্তু এই গাছটির ছিল না পাতা, এমন কি ছালবাকলও ছিল না, ছিল না এক আঁচড় সবুজের প্রতিশ্রুতি, তাই তাকে কবি প্রেতচ্ছায়া বলেছেন। কারণ সেটা যেন কোনো এক নিষ্প্রাণ কাঠামো।
১৫) ‘ওই পথ দিয়ে / জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে’- এভাবে কবিতায় উত্তমপুরুষের রীতি কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, অন্তত পাঁচটি পত্তি উদ্ধৃত করে দেখাও।
ক) “ওই পথ দিয়ে জরুরী কাজে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে”
খ) “জিজ্ঞেস করলুম, তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে?”
গ) “ওখান দিয়েই আমার শর্টকাট”
ঘ) “ফিরে আসতেই দেখি”
ঙ) “অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে দেখলুম”
১৬) ‘কারা ওরা’ ?- কবিতা অনুসরণে তাদের পরিচয় দাও।
উঃ ওরা ছন্নছাড়া বেকারের দল, রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। চোঙা প্যান্ট, চোখা জুতো, রোখা মেজাজ, ঠোকা কপাল। ওখানে দিয়ে গেলে তারা গাড়িতে লিফট চায়, বলে হাওয়া খাওয়ান। ওরা এক নেই রাজ্যের বাসিন্দা। ওদের অনুনয়, বিনয়, ভদ্রতা, শালীনতা নেই। সেই রাস্তায় উঠে আসা ছন্নছাড়ার দল কিন্তু প্রকৃত অর্থে মানবিক। তারাই নামগোত্রহীন এক ভিখিরির প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
১৭) ‘ঘেঁষবেন না ওদের কাছে ?’- এই সাবধানবাণী কে উচ্চারণ করেছিলেন ? ‘ওদের’ বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে ? ওদের কাছে না ঘেঁষার পরামর্শ দেওয়া হলো কেন ?
উঃ ছন্নছাড়া কবিতায় যে ট্যাক্সি ড্রাইভার কবিকে তার গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি এই সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছিলেন। ওদের বলতে পথের ধারে থাকা একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবকদের কথা বলা হয়েছে। ড্রাইভারের ধারণা ওই ছন্নছাড়া যুবকদের কোনো বিনয় নেই, ভদ্রতা নেই, শ্লীলতা নেই, শালীনতা নেই। ওরা এক নৈরাজ্যের বাসিন্দা। ওঁদের কোন রীতিনীতি নেই। সব থেকে বড়ো কথা ওদের কাছে গেলেই ওরা হাওয়া খাওয়ার জন্য ট্যাক্সিতে লিফট চাইবে। তাই ট্যাক্সি ড্রাইভার কবিকে ওদের কাছে না ঘেঁষতে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
১৮) ‘তাই এখন এসে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে।’- এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের জীবনের এমন পরিণতির কারণ কবিতায় কীভাবে ধরা পড়েছে তা নির্দেশ করো।
উঃ এখানে কবিতায় বর্ণিত অধিকারহীন, নৈরাজ্যের বাসিন্দা সেই সমস্ত ছেলেদের কথা বলা হয়েছে। যারা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে, গাড়ি দেখলেই লিফট চায় বলে দাদা হাওয়া খাওয়ান, তাদের কথা বলা হয়েছে। তারা একসময় মধ্যবিত্তের পরিবারের বাড়ির একচিলতে রকে বসে আড্ডা মারত। কিন্তু তারা রক শুধু লোপাট করে দিল। ফলে সেই বেকার যুবকরাই এখন সড়কের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছে।
রাস্তার মোড়েই আড্ডার আসর জমায়। এছাড়াও তারা ছিল নৈরাজ্যের ও এক নেই রাজ্যের বাসিন্দা। তাদের জন্য কোনো অধিকার নেই, কলেজে সিট নেই, অফিসে চাকরি নেই, কারখানায় কাজ নেই, মেলায়-খেলায় তাদের জন্য টিকিট নেই, বাড়িতে ঘর নেই, খেলার মাঠ নেই, তাদের ভালোবাসারও কেউ নেই। এই কর্মহীন যুবকের দলকে তথাকথিত ভদ্রসমাজ এক বিড়ম্বনা বলে মনে করেন। কিন্তু তাদের জীবনের এই পরিণতির জন্য দায়ী ধনবান শাসকের শোষণ, যার ফলশ্রুতি হিসেবে তাদের জীবনে এসেছে হতাশা, যন্ত্রণা। এসবই সামাজিক ও আর্থিক পরিস্থিতির করুণ পরিণাম।
১৯) ‘জিজ্ঞেস করলুম / তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে ?’- প্রশ্নবাক্যটিতে প্রশ্নকর্তার কোন অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে ? তাঁর এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ার পর কীরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলো ?
উঃ প্রশ্নকর্তা যে মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল তাঁর প্রশ্নের মধ্য দিয়ে সেই মানসিকতারই প্রকাশ ঘটেছে। লেখক জিজ্ঞাসা করলেন ট্যাক্সি লাগবে ? লিফট চাই লিফট ? প্রশ্নকর্তা বা লেখক প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে মহত্ত্বের পরিচয় দিয়েছেন, তিনি ব্যাতিক্রমী, তাই তিনি অবহেলিত এই ভবঘুরেদের মহৎ প্রচেষ্টার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন। ট্যাক্সি পেয়ে ছেলের দল সোল্লাসে চিৎকার করে এবং সিটি দিয়ে ওঠে। আর দেরি না করে চাপা পড়া বেওয়ারিশ ভিখিরির দলা পাকানো দেহটি তুলে নিল গাড়ির ভিতরে। তখনও লোকটা বেঁচে ছিল, তাই যুবকেরা প্রাণ আছে বলে আনন্দে চেঁচিয়ে ওঠে এবং তারা চলে যায় কোনো হাসপাতালে।
২০) ‘প্রাণ আছে , এখানো প্রাণ আছে’- এই দুর্মর আশাবাদের ‘তপ্ত শঙ্খধ্বনি’ কবিতায় কীভাবে বিঘোষিত হয়েছে তা আলোচনা করো।
উঃ এই পৃথিবীতে প্রাণই সবকিছু। প্রাণ না থাকলে পৃথিবীটা তো ইট – কাঠ – পাথরে ভরা এক বস্তুতে পরিণত হতো। কবি দেখেছেন সভ্যতার কঠিন শাসনে পড়ে সবই নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। সবাই স্বার্থপর হয়ে যায়। এই পৃথিবীতে ছন্নছাড়া অপাত্তেয় বলে পরিচিত যারা আসল প্রাণ তাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে।
২১) কবিতায় নিজের ভব্যতা ও শালীনতাকে বাঁচাতে চাওয়া মানুষটির ছন্নছাড়াদের প্রতি যে অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তা বুঝিয়ে দাও।
উঃ ‘ছন্নছাড়া’ কবিতার কথক একজন ভদ্র, সভ্য ও রুচিসম্পন্ন নাগরিক। তিনি বিশেষ কাজে ট্যাক্সি চেপে যাচ্ছিলেন। যাবার পথে রাস্তার মোড়ে কয়েকটি ছেলেকে দেখে ড্রাইভার যেতে চাইল না, বলল ওরা ছন্নছাড়া। কবি নিজে এই ছন্নছাড়াদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন, তিনি জানতেন কোনো স্বার্থপর মানুষদের শোষণে একদল মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। তাই তিনি তাদের নিজের গাড়িতে লিফট দিয়েছিলেন।
তিনি বুঝেছিলেন এই ছন্নছাড়া মানুষদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্রাণ, যা অন্য কারো মধ্যে নেই। কবি একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। তাই বিবেক বর্জিত মানুষ হয়ে তিনি থাকতে চান না। তাই ছন্নছাড়া অথচ মানবিক এই যুবকদের প্রতি তার পূর্ণ সমবেদনা ছিল। তাদের মহৎ প্রচেষ্টার সহযোগী হবার জন্য কবির ক্ষুদ্র চেষ্টা কবিতায় অন্য রূপ পায়। তাই ট্যাক্সিতে লিফট দিয়ে লেখক এই ছন্নছাড়াদের মহৎ উদ্দেশ্যকে অন্তরের সম্মান জানান।
২২) কবিতায় ‘গাছটি’ কীভাবে প্রাণের প্রতীক হয়ে উঠেছে তা আলোচনা করো।
উঃ কবি প্রথমে যখন গাছটিকে দেখেছিলেন তখন তাঁর মনে হয়েছিল এটি গাছ কিন্তু গাছ নয়, এটি গাছের প্রেতচ্ছায়া। ডাল নেই, এমন কি ছাল, বাকলও নেই। কিন্তু ছন্নছাড়া মানুষ বলে যারা পরিচিত, কবি তাদের মধ্যে খুঁজে পেলেন প্রাণের সন্ধান, রাস্তার একটি বেওয়ারিশ ভিখারিকে বাঁচাতে তারা ছুটে গিয়েছিল। অথচ তারাই নিজেরাই নিঃস্ব। এইভাবে প্রাণের খোঁজ পেয়ে কবির দৃষ্টিভঙ্গি গেল পাল্টে। যে গাছকে তিনি প্রেতচ্ছায়া ভেবেছিলেন, তার মধ্যেই দেখতে পেলেন প্রাণের রূপ, গাছের পাতাগুলো সোনালি কচি পাতায় ভরে গেছে, চারিদিকে পাখির কাকলি, প্রজাপতি উড়ছে। পথের ধারে পড়ে থাকা নামগ্রোত্রহীন ভিখিরির প্রাণের দাবি যেমন মানবিকতার ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে, তেমনই তারই হাত ধরে সমগ্র প্রকৃতি যেন সঞ্জীবনী সুধার পরশে প্রাণ পেল। তাই কবিতায় গাছটি যথার্থভাবে প্রাণের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
২৩) ‘এক ক্ষয়হীন আশা / এক মৃত্যুহীন মর্যাদা’- ‘প্রাণকে’ কবির এমন অভিধায় অভিহিত করার সঙ্গত কারণ নিজের ভাষায় বিশ্লেষণ করো।
উঃ ‘ছন্নছাড়া’ কবিতায় প্রথমেই কবি গাছের একটি প্রতীক চিত্র ব্যবহার করেছেন। তিনি গাছটিকে প্রথমে গাছ বললেও পরে তাকে গাছের প্রেতচ্ছায়া বলেছেন। কবির মনে হয়েছিল যে গাছ মানুষকে বাঁচাতে সাহায্য করে তাতে আর প্রাণ নেই। সেই প্রাণহীন গাছটি যেন গোঁটা মানবসমাজের প্রতীক। ওই গাছটির মতো যুবক সমাজও নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু কবির প্রাণ সম্পর্কে এই ধারণা বদলে গেল যখন তিনি দেখলেন। কবির ট্যাক্সিতে সেই ছন্নছাড়া যুবকের দল এক বেওয়ারিশ ভিখিরির রক্তাক্ত দেহ তুলে নিল এবং প্রাণ আছে প্রাণ আছে বলে সোল্লাসে চেঁচিয়ে উঠল।
কবি বুঝলেন যে, যুব সমাজকে তিনি প্রাণ হীন মনে করছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছে পরোপকারী মানসিকতা , দয়ামায়া, যেগুলি জীবনের লক্ষণ। তাই শেষে কবি দেখলেন প্রেতের মতো গাছটির ডালে ডালে সবুজ সোনালি পাতার সমারোহ অর্থাৎ এই পৃথিবী প্রাণময় হয়ে উঠুক এটাই কবির আশা। কিন্তু প্রাণ না থাকলে পৃথিবী জড় বস্তুতে পরিণত হবে। কারণ প্রাণ আশার প্রতীক, প্রাণ ভরসার প্রতীক, প্রাণ হচ্ছে মৃত্যুহীন। এক প্রাণ চলে যায় সৃষ্টি করে যায় আর একটি প্রাণ, তাই পৃথিবী কখনো প্রাণশূন্য হয় না। এই কারণে কবি প্রাণকে বলেছেন এক মৃত্যুহীন মর্যাদা।
অষ্টম শ্রেণি বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কঃ
- বোঝাপড়া
- অদ্ভুত আতিথেয়তা
- চন্দ্রগুপ্ত
- বনভোজনের ব্যাপার
- সবুজ জামা
- চিঠি
- পরবাসী
- পথচলতি
- একটি চড়ুই পাখি
- দাঁড়াও
- ছন্নছাড়া
- পল্লীসমাজ
- গাছের কথা
- হাওয়ার গান
- কী করে বুঝব
- পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি
- নাটোরের কথা
- গড়াই নদীর তীরে
- জেলখানার চিঠি
- স্বাধীনতা
- আদাব
- শিকল পরার গান
- হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
- ঘুরে দাঁড়াও
- সুভা
- পরাজয়
- মাসিপিসি
- টিকিটের অ্যালবাম
- লোকটা জানলই না
- বাংলা ব্যাকরণ
- পথের পাঁচালী
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ