গাছের কথা প্রশ্ন উত্তর

গাছের কথা প্রশ্ন উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা গাছের কথা প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই গাছের কথা প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য গাছের কথা গল্পটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

গাছের কথা প্রশ্ন উত্তরঃ 

১) জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।

উঃ জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা একটি বই হলো ‘অব্যক্ত’।

২) জগদীশচন্দ্র বসু কী আবিষ্কার করেছিলেন ?

উঃ জগদীশচন্দ্র বসু আবিষ্কার করেন ‘গাছের প্রাণ’ আছে। 

৩) লেখক কবে থেকে গাছেদের কথা বুঝতে পারেন ?

উঃ যেদিন থেকে লেখক গাছ, পাখি, কীটপতঙ্গদের ভালোবাসতে শিখেছেন, সেই দিন থেকে তিনি গাছেদের ভাষা বুঝতে শিখেছিলেন।

৪) ‘ইহাদের মধ্যেও তাহার কিছু কিছু দেখা যায়’- কী দেখা যায় ?

উঃ মানুষের মধ্যে যে সমস্ত সদ্‌গুণ আছে, গাছেদের মধ্যেও তার কিছু কিছু দেখা যায়। 

৫) জীবিতের লক্ষণ কী তা লেখক অনুসরণে উল্লেখ করো। 

উঃ জীবিতের মূল লক্ষণ হলো গতি। যে বস্তু জীবিত তা ক্রমশই বাড়তে থাকে। 

৬) ‘বৃক্ষশিশু নিরাপদে নিদ্রা যায়’- বৃক্ষশিশু কোথায় নিদ্রা যায় ? 

উঃ বীজের উপর এক কঠিন আবরণ বা ঢাকনা থাকে, তার মধ্যে বৃক্ষশিশু নিরাপদে নিদ্রা যায়। 

৭) অঙ্কুর বের হবার জন্য কী কী প্রয়োজন ? 

উঃ অঙ্কুর বের হবার জন্য জল, মাটি, ও উত্তাপ প্রয়োজন। 

৮) ‘আগে এসব কিছুই জানিতাম না’- কোন বিষয়টি লেখকের কাছে অজানা ছিল ?

উঃ গাছ কোনো কথা বলে না, গাছের যে জীবন আছে, আমাদের মতো গাছ খাদ্যগ্রহণ করে, দিনে দিনে বাড়ে, এসব কথা আগে লেখক জগদীশচন্দ্র বসুর অজানা ছিল। 

৯) ‘ইহাদের মধ্যেও তাহার কিছু কিছু দেখা যায়’- কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের মধ্যে কী লক্ষ্য করা যায় ?

উঃ এখানে গাছেদের কথা বলা হয়েছে। মানুষের মধ্যে যেমন সদ্‌গুণ আছে তেমনি গাছের মধ্যেও তা আছে। বৃক্ষদের মধ্যে একে অন্যকে সাহায্য করতে দেখা যায়। একে অপরের সাথে বন্ধুত্ব হয়। তাছাড়া মানুষের মধ্যে যে সর্বোচ্চ গুণ স্বার্থত্যাগ তাও গাছের মধ্যে দেখা যায়।মা যেমন নিজের জীবন দিয়ে সন্তানের জীবন রক্ষা করেন, তেমনই সন্তানের জন্য নিজের জীবনদান উদ্ভিদের মধ্যেও সচরাচর দেখা যায়। 

১০) ‘গাছের জীবন মানুষের ছায়ামাত্র’- লেখকের এমন উক্তি অবতারণার কারণ বিশ্লেষণ করো।

উঃ লেখক জগদীশচন্দ্র গাছকে ভালবাসতে শিখে অনুভব করেছেন যে গাছের জীবন অনেকটা মানুষের মতো। মানুষ যেমন সন্তানকে জীবন দিয়ে রক্ষা করে, গাছ তেমনি তার জীবন দিয়ে সন্তানকে রক্ষা করে। গতি যেমন মানুষের জীবন,গতি তেমন গাছেরও জীবন, গাছ তার ডালপালা বহু দূর বিস্তার করে। খাদ্যের অভাবে, পানীয় জল ও উত্তাপের অভাবে তার মৃত্যু ঘটে। বৃক্ষদের মধ্যে একে অপরকে সাহায্য করতে দেখা যায়। তাদের একে অপরের সাথে বন্ধুত্বও হয়। এছাড়া মানুষের সর্ব্বোচ্চ গুণ স্বার্থত্যাগ তাও গাছেদের জীবনে দেখা যায়। তাই লেখক বলেছেন গাছের জীবন মানুষের ছায়ামাত্র।

১১) জীবনের ধর্ম কীভাবে রচনাংশটিতে আলোচিত ও ব্যাখ্যাত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো।

উঃ ‘গাছের কথা’ প্রবন্ধে লেখক জগদীশচন্দ্র অত্যন্ত সুন্দরভাবে গাছেদের জীবনধারণ প্রণালীর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। পৃথিবী তাকে মায়ের মতো কোলে তুলে নেয়। মাটির নীচে বীজটি শীত ও ঝড় থেকে রক্ষা পায়, নিরাপদে বৃক্ষশিশুটি ঘুমিয়ে থাকে। এই অংশটিতে লেখক বুঝিয়ে দিয়েছেন যে বিশ্বপ্রকৃতির প্রতিটি বিষয়ই একে অপরের সঙ্গে গভীর সম্পর্কে আবদ্ধ। বহু প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করেও বীজ কিন্তু শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর গভীরে আশ্রয় পেয়ে যায়। মাটি তার সন্তানের মতো বীজকে লালনপালন করে বৃহৎ বৃক্ষে পরিণত করে। 

১২) ‘প্রত্যেক বীজ হইতে গাছ জন্মে কিনা, কেহ বলিতে পারে না’- বীজ থেকে গাছের জন্মের জন্য অত্যাবশ্যকীয় শর্তগুলি আলোচনা করো।

উঃ বীজ থেকে গাছ জন্মাতে অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। যদি বীজ কঠিন পাথরের উপর পড়ে তাহলে সেখান থেকে তার অঙ্কুর বের হতে পারে না। কারণ অঙ্কুর বের হতে উত্তাপ, জল ও মাটির সংস্পর্শ চাই। অতিরিক্ত ঠান্ডা পরিবেশে বীজ অঙ্কুরিত হতে পারে না। অপর দিকে জল শোষণ করে বীজ ফুলে উঠলে তবেই বীজের অঙ্কুরোদগম হয়। আর মাটিতে প্রবেশ না করলে অঙ্কুরিত বীজ থেকে গাছ জন্মায় না। 

১৩) ‘তখন সব খালি খালি লাগিত’- কখনকার অনুভূতির কথা বলা হলো, কেন তখন সব খালি খালি লাগত ? ক্রমশ তা কীভাবে অন্য চেহারা পেল তা পাঠ্যাংশ অনুসরণে বুঝিয়ে দাও।

উঃ ‘গাছের কথা’ প্রবন্ধে লৈখক জগদীশচন্দ্র প্রথম জীবনে যখন একা মাঠে কিংবা পাহাড়ে বেড়াতে যেতেন তখনকার গভীর অনুভূতির কথা বলা হয়েছে। তখন লেখক অনেক কিছুই বুঝতেন না তাই খালি খালি লাগত। তারপর গাছ, পাখি, কীটপতঙ্গ সবাইকে লেখক ভালোবাসতে শিখলেন। এই ফাঁকা লাগা ভাবও তার কেটে গেল। এখন লেখক গাছ-এর মনের কথা বুঝতে পারেন। তিনি জানেন গাছের জীবন আছে তারা আমাদের মতো খাবার খায়, তাদেরও অভাব, সুখ, দুঃখ আছে। এমনকি তারা কষ্টে পড়ে চুরি ডাকাতিও করে। খাদ্য জোগাড়ের জন্য তাদের সর্বদা ব্যস্ত থাকতে হয়। এক বৃক্ষ আবার অন্য বৃক্ষকে সাহায্য করে, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে। মানুষের যে সর্বোচ্চ গুণ স্বার্থত্যাগ, সেটাও গাছের মধ্যে দেখা যায়। মা যেমন নিজের জীবন দিয়ে সন্তানের জীবন রক্ষা করেন তেমনই গাছও তার জীবন দিয়ে সন্তানকে রক্ষা করে। এইভাবে ধীরে ধীরে লেখকের উপলব্ধি অন্য মাত্রা পেল। এই উদ্ভিদরাই তাঁর একাকীত্বের সাক্ষী হয়ে ওঠে।

১৪) বাক্য পরিবর্তনঃ

ক) আগে যখন একা মাঠে কিংবা পাহাড়ে বেড়াইতে যাইতাম, তখন সব খালি-খালি লাগিত। (সরল বাক্যে)

উঃ আগে একা মাঠে-পাহাড়ে বেড়াইতে গেলে সব খালি খালি লাগিত।

খ) তাদের অনেক কথা বুঝিতে পারি, আগে যাহা পারিতাম না। (হ্যাঁ-সূচক বাক্যে) 

উঃ আগে অপারগ হলেও এখন তাদের অনেক কথা বুঝিতে পারি।

গ) ইহাদের মধ্যেও আমাদের মতো অভাব, দুঃখ-কষ্ট দেখিতে পাই। (জটিল বাক্যে)

উঃ আমাদের যে অভাব, দুঃখ কষ্ট তা ইহাদের মধ্যেও দেখিতে পাই।

ঘ) তোমরা শুল্ক গাছের ডাল সকলেই দেখিয়াছ। (না-সূচক বাক্যে)

উঃ শুকনো গাছের ডাল দেখে নাই এমন কেহ নাই। 

ঙ) প্রবল বাতাসের বেগে কোথায় উড়িয়া যায়, কে বলিতে পারে? (প্রশ্ন পরিহার করো)

উঃ প্রবল বাতাসের বেগে কোথায় উড়িয়া যায় তা কেউ বলিতে পারে না।

১৫) ব্যাসবাক্যসহ সমাসঃ 

কীটপতঙ্গকীট ও পতঙ্গ– দ্বন্দ্ব সমাস 

বৃক্ষশিশুবৃক্ষের শিশু– সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস

জনমানবশূন্যজন ও মানব শূন্য– দ্বন্দ্ব সমাস

দেশান্তরেঅন্য দেশে– নিত্য সমাস 

স্বার্থত্যাগস্বার্থকে ত্যাগ– কর্মতৎপুরুষ সমাস 

বনজঙ্গলবন ও জঙ্গল– সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস 

দিনরাত্রিদিন ও রাত্রি– বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব সমাস 

নিরাপদনাই বিপদ– না-তৎপুরুষ সমাস 

১৬) কারক-বিভক্তিঃ 

ক) ইহাদের মধ্যে একের সহিত অপরের বন্ধুত্ব হয়।

উঃ কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।

খ) আর কিছুকাল পরে ইহার চিহ্নও থাকিবে না।

উঃ সম্বন্ধ পদে ‘র’-বিভক্তি। 

গ) বীজ দেখিয়া গাছ কত বড়ো হইবে বলা যায় না।

উঃকর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।

ঘ) মানুষের সর্ব্বোচ্চ গুণ যে স্বার্থত্যাগ, গাছে তাহাও দেখা যায়।

উঃ অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।

১৭) সন্ধি-বিচ্ছেদঃ

ক) তাহার মধ্যে বৃক্ষশিশু নিরাপদে নিদ্রা যায়।

উঃ নিঃ + আপদে = নিরাপদে

খ) অতি প্রকাণ্ড বটগাছ সরিষা অপেক্ষা ছোটো কী হইতে জন্মেছে।

উঃ অপ্ + ঈক্ষা = অপেক্ষা।

গ) এই প্রকারে দিনরাত্রি দেশ দেশান্তরে বীজ ছড়াইয়া পড়িতেছে।

উঃ দেশ + অন্তরে = দেশান্তরে।

অষ্টম শ্রেণি বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে

click here

 অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

You cannot copy content of this page

Need Help?