লোকটা জানলই না প্রশ্নের উত্তর ।। Lokta Janloi Na Question Answer

লোকটা জানলই না প্রশ্নের উত্তর ।। Lokta Janloi Na Question Answer

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য লোকটা জানলই না প্রশ্নের উত্তর ।। Lokta Janloi Na Question Answer প্রদান করা হলো। এই লোকটা জানলই না প্রশ্নের উত্তর ।। Lokta Janloi Na Question Answer ভালো করে পাঠ করলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের বাংলা পরীক্ষায় বিশেষ সুবিধা লাভ করবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।

লোকটা জানলই না প্রশ্নের উত্তর ।। Lokta Janloi Na Question Answer: 

১) কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী ? 

উঃ কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম ‘ পদাতিক ‘।  

২) তাঁর লেখা দুটি গদ্যগ্রন্থের নাম লেখো। 

উঃ তাঁর লেখা দুটি গদ্যগ্রন্থ ‘টানাপোড়েনের মাঝখানে’ এবং ‘ঢোলগোবিন্দের আত্মদর্শন’।

৩) ‘বাঁদিকে বুক পকেটটা সামলাতে সামলাতে’- এখানে ‘বাঁদিকের বুক পকেট’টা বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? 

উঃ বাঁদিকের বুক পকেট বলতে এখানে টাকার থলে বোঝানো হয়েছে। রোজগার করা মানুষ বাঁ দিকের পকেটেই দিনের উপার্জিত অর্থ রাখেন । আধুনিক মানুষেরা নিজেদের ধন-সম্পত্তি রক্ষার দিকেই মনযোগ দেন। তাই বাঁদিকের বুক পকেট অর্থাৎ অর্থ সামলাতে গিয়েই তাঁদের জীবন কেটে যায়।    

৪) ‘ইহকাল পরকাল’- এই শব্দদ্বয় এখানে কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।  

উঃ ‘ইহকাল’ শব্দটি বর্তমান জীবন এবং ‘পরকাল’ বলতে বোঝানো হয়েছে মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থা। আসলে মানুষটি অর্থের পিছনে ছুটতে ছুটতে মানবিকতাহীন এক যন্ত্রতে পরিণত হয়েছিল ফলে বর্তমান তার কাটে নিঃসঙ্গতায় এবং মৃত্যু তাকে গ্রাস করে কালের নিয়মে।  

৫) কবিতায় লোকটির দু-আঙুলের ফাঁক দিয়ে কী খসে পড়ল ?  

উঃ কবিতায় লোকটির দু-আঙুলের ফাক দিয়ে তার জীবন খসে পড়ল। কথাটি আসলে প্রতীকী মাত্র। এখানে লোকটির জীবনের মূল্যহীনতা বোঝাতে কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে। 

৬) ‘আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ’ আসলে কী ? 

উঃ আরব দেশের উপকথায় বর্ণিত এক অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন প্রদীপই আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ । আরব্য রজনীর কাহিনি অনুযায়ী এই প্রদীপটির মধ্যে ছিল এক জিন বা দৈত্য । প্রদীপটি ঘষলে দৈত্য তার ভিতর থেকে বেরিয়ে প্রদীপের মালিকের নির্দেশ অনুযায়ী যে কোনো কাজ করে দিত । আলাদিন এই প্রদীপটি পেয়েছিল । কবি রূপক হিসাবে মানব হৃদয়ের সঙ্গে তার তুলনা করেছেন , কারণ হৃদয়বান মানুষ সমগ্র পৃথিবী জয় করতে পারে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের মতো । 

৭) ‘লোকটাই জানলই না’- পঙ্ক্তিটি দু’বার কবিতায় আছে। একই পক্তিটি একাধিকবার ব্যবহারের কারণ কী ? 

উঃ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হয়েও কবিতায় বর্ণিত লোকটা অর্থাৎ মানুষ কেবলমাত্র অর্থ উপার্জন এবং ভোগের মধ্য দিয়েই জীবন কাটিয়ে দিল । তার মধ্যে কোনোরূপ মানসিক বিকাশ ঘটেনি । কবি তার ‘ লোকটা জানল না ‘ কবিতায় এই রকম এক হৃদয়হীন মানুষের কথা বলেছেন যে তার নিজের অস্থিমজ্জার নীচে থাকা হৃদয়ের উপস্থিতির কথা জানতেই পারল না । কবি আক্ষেপ করে এবং লোকটার প্রতি করুণাবশতই দুবার পঙ্ক্তিটি ব্যবহার করেছেন । 

৮) কবি ‘হায়-হায়’ কোন্ প্রসঙ্গে বলেছেন ? কেন বলেছেন ? 

উঃ কবি লোকটার প্রতি করুণাবসত ‘হায় হায়’ বলেছেন। একজন মানুষ মনের অন্তঃকরণের মধ্যে লুকানো সম্পদের খোঁজই জানতে পারল না কেবল মাত্র অর্থলালসায়, ভালোবাসা, দয়া-মায়া শব্দগুলি তার কাছে অর্থহীন হয়ে থাকল ভোগের নেশায়। তবে যে একটা হৃদয় আছে তা সে জানতে পারল না। এখানেই কবির আক্ষেপ তাই কবি তার প্রতি করুণাবশত ‘হায় হায়’ করেছেন।  

৯) কবিতাটির নামকরণ যদি হতো ‘হৃদয়’ বা ‘আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ’ তাহলে তা কতটা সার্থক হতো ? 

উঃ হৃদয় বলতে বুঝি মনের অন্তঃকরণ যেখানে দয়া – মায়া , ভালোবাসা , ঔদার্যের মতো মহৎ বস্তুর অবস্থান । যেহেতু ভোগবিলাসী মানুষটি আত্মসর্বস্ব এবং অর্থলোলুপ , তাই হৃদয়হীন মানুষকেন্দ্রিক কবিতার নাম ‘ হৃদয় ’ সার্থক বা যথার্থ হতো না । আবার আলাদিনের মতো সৎ , নির্ভীক এবং পরোপকারী চরিত্র আলোচ্য কবিতার লোকটি নন । আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ ব্যবহৃত হয়েছে মানব কল্যাণে কিন্তু কবিতার লোকটা স্বার্থান্ধ এবং কৃপণ প্রকৃতির । তাই ওই নামের সার্থকতাও আমি খুঁজে পাই না , বরং কবির দেওয়া নামটিই যথার্থ বলে আমি মনে করি ।  

১০) সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখার যে ধরন তোমার চোখে পড়েছে তা নিয়ে বন্ধুকে একটি চিঠি লেখো । 

উঃ প্রিয় বন্ধু সুমিত , আমাদের পাঠ্যবইয়ে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা এক সুন্দর কবিতা পড়লাম । কবিতাটির সাবলীলতা অসাধারণ ‘ অতি সাধারণ শব্দ কতটা ব্যাঞ্জনাময় হতে পারে , তা এই লেখা না পড়লে জানতে পারতাম না । এর আগে তো আধুনিক কবিতা বুঝতাম না , কতকগুলি শব্দের অবিন্যস্ত জাল মাথায় ঢুকত না । তাতে আর যাই হোক কবিতার প্রকৃত ছবি ফুটে উঠত না । কিন্তু ‘ লোকটা জানলই না ’ কবিতায় সমাজের মানুষ ও তাদের করণীয় কর্তব্য কী হওয়া উচিত তাঁর একটা ধারণা পেলাম । সবমিলিয়ে বলতে পারি আধুনিক কবিতার প্রতি আমার আগ্রহ কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় অনেক বাড়িয়ে দিলেন । সুযোগ পেলে কবির আরও অন্যান্য লেখা পড়ে দেখার ইচ্ছা রইল , তুইও কবির লেখা সময় পেলে পড়িস । এখানেই থামি । তোমার বন্ধু

১১) ‘অথচ’ শব্দটি ব্যাকরণের ভাষায় কী বলি ? কবিতায় এই ‘অথচ’ শব্দটির প্রয়োগ কবি কেন করেছেন ? 

উঃ ‘অথচ’ শব্দটি ব্যাকরণগতভাবে একটি অব্যয় । এখানে দুটি বাক্যের সংযোজক হিসাবে শব্দটিকে কবিতায় প্রয়োগ করা হয়েছে । শব্দটি আসলে করণীয় কর্তব্য না করার কারণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে । মানব হৃদয়ের পূর্ণ বিকাশে মানুষ দেবত্ব লাভ করে , তার কীর্তির মধ্যে দিয়ে মানুষ অমরত্ব লাভ করে । সে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকে চিরদিন । কিন্তু কবিতার লোকটা তার সন্ধান পেল না কেবল জাগতিক সম্পদ এবং খেয়ে , সুখে থাকার জন্য । লোকটা খাওয়ার জন্য বাঁচতে চেয়েছিল এই আক্ষেপকে কবি কবিতায় ব্যঞ্জনাময় করে তুলতেই শব্দটির প্রয়োগ করেছেন । 

১২) ‘আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ’ পঙ্ক্তিটিতে মোট কটি দল ? রুদ্ধদল এবং মুক্তদলের সংখ্যা বা কত ? 

উঃ ‘আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ’ পঙক্তিটিতে মোট ৯ টি দল আছে। এর মধ্যে রুদ্ধদলের সংখ্যা চারটি এবং মুক্ত দলের সংখ্যা পাঁচটি । 

১৩) কবিতার মধ্যে অসমাপিকা ক্রিয়ার সংখ্যা কটি ও কী কী ? 

উঃ কবিতার মধ্যে অসমাপিকা ক্রিয়ার সংখ্যা সাতটি । এগুলি হল ( ১ ) সামলাতে ( ২ ) সামলাতে , ( ৩ ) গিলতে ( ৪ ) গিলতে , ( ৫ ) দিলেন , ( ৬ ) ঢুকতে , ( ৭ ) খসে । 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

You cannot copy content of this page