অষ্টম শ্রেণি বাংলা পরাজয়
“অষ্টম শ্রেণি বাংলা পরাজয়” গল্প থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।
অষ্টম শ্রেণি বাংলা পরাজয় গল্পের প্রশ্নের উত্তরঃ
১) শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বইয়ের নাম লেখো।
উঃ শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম লেখা বই ‘ফেরারি’।
২) কলকাতার ফুটবল নিয়ে লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ ‘ক্লাবের নাম মোহনবাগান’ ও ‘ক্লাবের নাম ইস্টবেঙ্গল’।
৩) ‘এত দুঃখ এত ব্যথা সে কখনও পায়নি’। — এখানে কার দুঃখ বেদনার বলা হয়েছে?
উঃ আলোচা উদ্ধৃতিতে কলকাতা ফুটবলের সেরা স্ট্রাইকার রঞ্জনের কথা বলা হয়েছে।
৪) ‘রঞ্জনদা তুমি কাল ক্লাবে যাওনি?’ – এই প্রশ্নের উত্তরে রঞ্জন কী বলেছিল?
উঃ উপরিউক্ত প্রশ্নের জবাবে রঞ্জন বলেছিল যে, ‘না রে। কাল সকালেই আমায় কলকাতার বাইরে যেতে হয়েছিল’।
৫) গঙ্গার পাড়ে গিয়ে কোন দৃশ্য রপ্তনের চোখে ভেসে উঠল?
উঃ গঙ্গার পাড়ে গিয়ে রঞ্জন দেখল গঙ্গার জলে ছোটো ছোটো ঢেউয়ের দোলা আর দূরে নোঙর করে দাঁড়িয়ে আছে কটা ছোটো বড়ো জাহাজ।
৬) ‘সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পর রঞ্জনের মন অনেকটা শান্ত হলো’। – এখানে রঞ্জনের কোন সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে?
উঃ এখানে রঞ্জনের ক্লাব ছেড়ে দেওয়া কিন্তু খেলা না ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে।
৭) ‘ঘোষদা একটা বড়ো খবর আছে’। — কী সেই ‘বড়ো খবর’?
উঃ এখানে ‘বড়ো খবর’ বলতে কলকাতা ময়দানের সেরা স্ট্রাইকার রঞ্জনের নিজের ক্লাব ছেড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে যোগদানের ইচ্ছের কথা বলা হয়েছে।
৮) ‘রঞ্জনের দলবদল করার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে টনক নড়েছিল ক্লাবকর্তাদের’। – কীভাবে যে টনক নড়েছে, তা বোঝা গেল?
উঃ রঞ্জন ক্লাব ছাড়তে পারে একথা শুনেই ক্লাবকর্তারা রঞ্জনের বাড়ি ছোটোছুটি শুরু করে দেয় এ থেকেই বোঝা যায় যে রঞ্জনের ক্লাবত্যাগের খবরে ক্লাবকর্তাদের টনক নড়েছিল।
৯) ‘ব্যাপারটা কী হলো বুঝতে একটু সময় লাগল সমর্থকদের’। — এখানে কোন ব্যাপারটার কথা বলা হয়েছে?
উঃ হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের শেষ মুহূর্তে রঞ্জন যখন এক অসাধারণ ব্যাকভলিতে বুলেটের গতিতে বিপক্ষের জালে বল ঢুকিয়ে দেয় তখন সমর্থকরা বুঝতেই পারেনি যে বলটা গোলে ঢুকে গেছে তাই এমন মন্তব্য করা হয়েছে।
১০) ‘দুহাতে মুখ ঢেকে শুয়ে পড়ল একটা বেঞ্চিতে’। — স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকারের এমনভাবে শুয়ে পড়ার কারণ কী?
উঃ ক্লাবের অবহেলায় দল ছাড়লেও রঞ্জন নিজের প্রিয় ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করেও যেন আনন্দ পায় না, যেন পরাজয়ের গ্লানি এসে তাকে গ্রাস করে, তাই রঞ্জন ম্যাচ শেষে দুঃখ বেদনায় মুখ ঢেকে রেখে শুয়ে পড়ে।
১১) ‘একটু আগে ও সবকটা কাগজে বার পুজোর রিপোর্ট পড়েছে।’—এখানে ‘ও’ বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে? সে সবকটা কাগজে একই বিষয়ের রিপোর্ট পড়ল কেন?
উঃ এখানে ‘ও’ বলতে ‘পরাজয়’ গল্পের প্রধান চরিত্র রঞ্জনকে বোঝানো হয়েছে। রঞ্জন ছিল ক্লাব-অন্ত প্রাণ। ফুটবল জীবনের অন্তিম লগ্নে এসে পড়লেও সে নিজের খেলা ছাড়ার কথা ভাবেনি। অথচ তার প্রিয় ক্লাব নতুন মরশুমে বারপুজোয় তাকে আমন্ত্রণ জানায়নি। এ থেকেই সে বুঝতে পারে যে, ক্লাব তাকে আর নতুন মরশুমে দল রাখতে চায় না। তাছাড়া মহা গুরুত্বপূর্ণ বারপুজোয় কারা কারা উপস্থিত ছিল এটা জানার কৌতূহলও তার ছিল। এই জন্যই সে পরদিন সকালে সব কাগজগুলো খুঁটিয়ে পড়ে।
১২) “ওকে নিয়ে মাতামাতিটা ঠিক আগের মতো আর নেই।”—আগে ‘ওকে’ নিয়ে কী ধরনের মাতামাতি হতো?
উঃ আলোচ্য অংশে ‘ওকে’ বলতে রঞ্জনের কথা বলা চেয়েছে। রঞ্জন এক সময়ে ছিল কলকাতা ময়দানের ডাক সাইটে খেলোয়াড়। তাই প্রতিবছরই যখন ক্লাবে বারপুজো হত তখন ওকে প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি ইত্যাদি ক্লাবের উচ্চপদস্থ কর্তারা ফোন করে আমন্ত্রণ জানাত। সাত সকালে ওর বাড়িতে হাজির হত গাড়ি, ওকে মাঠে নিয়ে যাবার জন্য। গত পনেরো বছর ধরে রঞ্জন ওকে নিয়ে ক্লাবের এই মাতামাতিটাই দেখে এসেছে।
১৩) “ঠিক এক বছর আগের ঘটনা।”—একবছর আগে কোন ঘটনা ঘটেছিল ?
উঃ এক বছর আগেও যখন রঞ্জন ক্লাব ছাড়ার কথা ভেবেছিল, তখন ক্লাবকর্তারা বুঝতে পেরে ওর প্রাপ্য গুরুত্ব ওকে দেয়। যেমন, ফুটবল সেক্রেটারি আর কোেচ এসে ওর সঙ্গে দল গড়া নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কাকে কাকে এবার দলে আনা যায় তাই নিয়ে পরামর্শ চেয়েছিলেন। ওদের সঙ্গে কথা বলার পর ক্লাবের ওপর জমে থাকা অভিমানটা সরে গিয়েছিল রঞ্জনের।
১৪) ‘রঞ্জন সারাটা দিন আর বাড়ি থেকে বেরোয়নি।’– কোন দিনের কথা বলা হয়েছে ?
উঃ আলোচ্য অংশে পয়লা বৈশাখ ময়দানে বার পুজোর দিনের কথা বলা হয়েছে। প্রতিবছরই মহা সমারোহে ময়দানের ফুটবল ক্লাবগুলিতে বারপুজোর রেওয়াজ চালু আছে। ওইদিন ক্লাবে উচ্চপদস্থ কর্তা, সমর্থক আর বিশেষ করে নতুন মুরশুমের পুরো দলটিই মাঠে হাজির থাকে। এমনই দিনে ক্লাব রঞ্জনকে মাঠে আমন্ত্রণ জানায়নি। তাই এই দিনটিতে রঞ্জন আর বাড়ি থেকে বের হয়নি।
১৫) ‘রঞ্জন নামগুলো পড়ার চেষ্টা করে।’- রঞ্জন কোন নামগুলি পড়ার চেষ্টা করে ?
উঃ রঞ্জন তার ক্লাবের অবহেলায় অপমানিত হয়ে নিজের মনে অস্থির হয়ে ওঠে। এ সময় নিজের মনকে শক্ত করে গঙ্গার পাড়ে গিয়ে দাঁড়ায়। গঙ্গার জলের মৃদু ঢেউ আর পাখির ডাকে তার মন ভোলে। সে দূরে দেখে নোঙর করা কটা ছোটো বড়ো জাহাজ। এই জাহাজের নামগুলিই রঞ্জন পড়বার চেষ্টা করে।
১৬) ‘রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিলো।’— কোন কথা শুনে রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিল ?
উঃ নিজের ক্লাবে অপমানিত হয়ে রঞ্জন ওর জবার দিতে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদাকে ফোন করে। ফোনে সব কথা শুনে স্বপনদা রঞ্জনকে বলেন, ‘রঞ্জন তুমি বাড়ি থেকে বলছ তো? আমি আসছি। আধ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাব। এই শুনেই রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দেয়।
১৭) ‘সত্যি ওরা তোমার সঙ্গে উচিত কাজ করেনি’- কোন অনুচিত কাজের প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে ?
উঃ রঞ্জন যে ক্লাবকে নিজের মায়ের মতো ভালোবাসতো, প্রচুর টাকার প্রলোভনেও গত পনেরো বছর যে ক্লাবরে সে ছেড়ে যায়নি, সেই ক্লাবটি কিনা বারপুজোর মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর সৌজনাও দেখায়নি। এটাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদা অনুচিত কাজ বলে মন্তব্য করেছেন।
১৮) ‘মন স্থির করে ফেলেছ তো?’- উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কোন বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছে ?
উঃ আলোচ্য অংশে উদিষ্ট ব্যক্তি বলতে ‘পরাজয় গল্পের নায়ক চরিত্র রঞ্জনের কথা বলা হয়েছে। রঞ্জন তার পুরোনো ক্লাবের অপমানের জবাব দিতে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে এই পাকাপাকি সিদ্ধান্তটাকেই তার মনস্থিররূপে দেখা হয়েছে।
১৯) ‘আপনি সব ব্যবস্থা করুন’- কোন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে ?
উঃ পয়লা বৈশাখের বারপুজোয় আমন্ত্রণ না পেয়ে রঞ্জন নিজের ক্লাবের ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে। সে ঠিক করে যে ক্লাব তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দেয়নি সে ক্লাবে আর সে খেলবে না। এই ভাবামাত্র রঞ্জন প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের সেক্রেটারিকে ফোন করে এবং জানায় যে সে অন্য ক্লাবে যোগ দিতে চায়। তারা সবুজ সঙ্কেত দিলে রঞ্জন তার দলছাড়ার বন্দোবস্তু করতে অনুরোধ জানায়।
২০) ‘রাগে ফুঁসছিল রঞ্জন’- তার এই রাগের কারণ কী ?
উঃ উত্তরটি নিম্নে প্রদান করা হয়েছে।
২১) ‘এত দুঃখ, এত ব্যথা সে কোথাও পায়নি’- এই দুঃখ-যন্ত্রণার দিনে কীভাবে অতীতের সুন্দর দিনগুলির কথা রঞ্জনের মনে এসেছে ?
উঃ এই উপেক্ষাজনিত দুঃখ-যন্ত্রণার দিনে রঞ্জনের মন স্মৃতিভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। প্রতি বছর বারপুজোর দিনে সেক্রেটারি, ফুটবল সেক্রেটারি এবং প্রেসিডেন্ট বারবার ফোন করেন, তাকে নিতে গাড়ি আসে। সেও সকাল সকাল স্নান করে তৈরি হয়ে থাকে এবং গাড়ি এলেই ক্লাবের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। গত বছর থেকেই তাকে নিয়ে মাতামাতিটা একটু কম অনুভব করলেও সে ভাবল যে পুরোনো খেলোয়াড় হিসাবে হয়তো তাকে পরে জানানো হবে।
২২) রঞ্জনের ক্লাবের সঙ্গে তার পনেরো বছরের সম্পর্ক কীভাবে ছিন্ন হলো ? এই বিচ্ছেদের জন্য কাকে তোমার দায়ী বলে মনে হয় ?
উঃ রঞ্জন উপেক্ষার জবাব দিতে দলবদল করায় রঞ্জনের ক্লারের সঙ্গে তার পনেরো বছরের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল। এই বিচ্ছেদের জন্য আমি রঞ্জনের পুরোনো ক্লাব কর্তৃপক্ষকেই দায়ী বলে মনে করি। রঞ্জন শেষ মূহূর্ত পর্যন্ত তার ক্লাবের জন্য অপেক্ষা করলেও তারা কোনো যোগাযোগ রঞ্জনের সঙ্গে রাখেনি।
২৩) ‘কী করবে ও ঠিক করে ফেলেছে’- এখানে কার কথা বলা হয়েছে ? সে কী ঠিক করে ফেলেছে ? তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে পরবর্তী সময়ে চলতে পারল কি ?
উঃ এখানে ফুটবল খেলোয়াড় রঞ্জন সরকারের কথা বলা হয়েছে। সে ঠিক করে ফেলেছে যে ক্লাবের উপেক্ষার জবাব দিতে সে দলবদল করবে। হ্যাঁ, সে তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তীকালে চলতে পেরেছিল। দলবদলের প্রথম দিনেই সে সই করে অন্য দলে খেলার অঙ্গীকার করে।
২৪) ‘তৃতীয় দিন রাত্তিরে টেলিফোন করল অন্য বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারিকে’- কোন দিন থেকে ‘তৃতীয় দিনের’ কথা বলা হয়েছে ? এই দিন তিনেক সময় তার কীভাবে কেটেছে ? টেলিফোনটি করায় কোন পরিস্থিতি তৈরি হলো ?
উঃ ১লা বৈশাখ বারপুজোর দিন বাদ দিয়ে তৃতীয় দিনের কথা এখানে বলা হয়েছে। এই তিন দিন রঞ্জন ছটফট করে বেড়াল, অফিস ছাড়া সে আর কোথাও গেল না। কারও সাথে ভালোভাবে কথা পর্যন্ত বলল না। রঞ্জনকে গম্ভীর দেখে সহকর্মী বয়ঃকনিষ্ঠ খেলোয়াড়রা তার কাছ থেকে দূরে রইল। এই প্রথম সে দশটা পাঁচটা দুদিন অফিস করল। ক্লাবের কারও আসার বা টেলিফোনের জন্য প্রতীক্ষা করতে লাগল। বাড়ির লোকেরা তার চোখমুখ দেখে অনুভব করল সে প্রচণ্ড টেনশনে আছে। টেলিফোনটি করায় অন্য ক্লাব তাকে আগ্রহে সসম্মানে পেতে চাইল এবং তাদের ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনবাবু তার বাড়িতে আধঘণ্টার মধ্যে হাজির হলেন কথা বলার জন্য।
২৫) ‘দুই প্রধানের লড়াইকে কেন্দ্র করে অনেক বছর পরে কলকাতা আবার মেতে উঠেছে’- গল্প অনুসরণে সেই লড়াইয়ের উত্তেজনাপূর্ণ ফুটবল ম্যাচের বিবরণ দাও।
উঃ সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে লক্ষ লোকের সামনে দুই প্রধানের খেলা শুরু হয়েছিল। রঞ্জনের পুরোনো ক্লাব মাত্র একজনকে সামনে রেখে রক্ষণাত্মক মনোভাব নিয়ে খেলতে থাকল। দশজনের সঙ্গে রঞ্জন একা লড়তে লাগল। রঞ্জনের সহ খেলোয়াড়রা তাকে ঠিকমতো সাহায্য করতে না পারায় প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য ভাবে শেষ হলো। দ্বিতীয়ার্ধে রঞ্জনের পুরোনো ক্লাব রক্ষণাত্মক মনোভাব ত্যাগ করায় রঞ্জনের সুবিধা হলো। আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলা জমে উঠল। রঞ্জন নিজেদের হাফলাইনের কাছে নেমে এসে গোলকিপারের কাছ থেকে একটা বল ধরে দুলকি চালে এগোল। বাধার সামনে পড়ে সে বুদ্ধিমত্তাসহকারে সহ খেলোয়াড় সমরকে বলটা বাড়িয়ে দিল এবং তুলনায় ফাঁকা জায়গায় চলে গেল। সমরের কোনাকুনি বাড়ানো বল ধরে দুজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে পেনাল্টি সীমানার কাছে সমরের মাথা লক্ষ করে বলটা লব করল। সমর হেড করে বলটা ভাসিয়ে দিলে রঞ্জন চকিতে বুলেটের গতিতে ব্যাকভলি করে গোলে বল পাঠিয়ে দিল। ফলে তার দল ১-০ গোলে জয়ী হলো।
২৬) ‘বলটা বুলেটের মতো ছুটে গিয়ে ঢুকে গেল গোলে’- এরপর সমর্থক আর সহ খেলোয়াড়দের উল্লাসের বিপ্রতীপে রঞ্জনের বিষণ্ণতার কোন রূপ গল্পে ফুটে উঠেছে ?
উঃ বল গোলে প্রবেশ করায় সারা মাঠ উল্লাসে ফেটে পড়ল। দলের খেলোয়াড়দের রঞ্জনকে নিয়ে মাতামাতি এবং বাজি আর পটকার শব্দে সারা মাঠ গমগম করে উঠল। সাজঘরে প্রবেশ করে রঞ্জন বিষণ্ণতা অনুভব করল। সে পাশের ঘরে গিয়ে বেঙে শুয়ে পড়ল এবং চাপা বেদনায় কেঁদে উঠল। তার প্রিয় পুরোনো ক্লাবের পরাজয় তাকে খুব কষ্ট দিল।
২৭) গল্পের ঘটনা বিশ্লেষণ করে ‘পরাজয়’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা প্রতিপন্ন করো।
উঃ আলোচ্য ফুটবলখেলাকেন্দ্রিক ছোটোগল্পটি এক অনুভূতির অশ্রুজলের কাব্যরূপ। রঞ্জন সরকার দীর্ঘ পনেরো বছর যে ক্লাবের জন্য প্রাণপাত করে লড়াই চালিয়েছে বারপুজোর দিনে সেই ক্লাব তাকে আমন্ত্রণ না করায় তার পুরোনো দলের বিরুদ্ধে খেলায় গোল করে তার বর্তমান দলকে জিতিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে। মানসিক দ্বন্দ্বে তার হৃদয় বিদীর্ণ হয়ে গেছে। সে তার প্রতি অবহেলার যোগ্য জবাব দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবের খেলায় সে জিতলেও মনের কাছে সে পরাজিত হয়েছে। পুরোনো ক্লাবের প্রতি তার ত্যাগ ও ভালোবাসা তার হৃদয়ে সদা জাগরুক ছিল। ক্লাবের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা ক্ষণিকের উপেক্ষায় সাময়িকভাবে অপসারিত হলেও মনে মনে সে আদ্যন্ত তার পুরোনো ক্লাবকেই ভালোবাসত। তাই বাস্তবে সে প্রতিশোধ বা উপেক্ষার জবাব দিলেও মনের দিক থেকে সে দুর্বল ছিল। তাই বাস্তবিকভাবে তার দল জিতলেও সে তার পুরোনো ক্লাবপ্রীতির কাছে পরাস্ত হয়েছিল। তাই গল্পের নামকরণ যথাযথ বাস্তবানুগ ও ব্যঞ্জনাধর্মী হয়ে উঠেছে।
অষ্টম শ্রেণি বাংলা পরাজয় গল্প থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) “রাগে ফুঁসছিল রঞ্জন”- তার এই রাগের কারণ কী?
উৎসঃ
প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি “সিদ্ধার্থ ঘোষ” সংকলিত “খেলা আর খেলা” গ্রন্থের অন্তর্গত, “শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “পরাজয়” গল্প থেকে গৃহীত হয়েছে।
রঞ্জনের রাগের কারণঃ
পনেরো বছর ধরে সকল প্রলোভনকে উপেক্ষা করেও গল্পের প্রধান চরিত্র, ফুটবল খেলোয়ার রঞ্জন, একই দলে খেলে চলেছে এবং তার দলকে অনেক সন্মান প্রদান করেছে।
কিন্তু পয়লা বৈশাখের সকালে বারপূজার সময় যখন প্রতিটি ক্লাব তাদের দলের প্রধান খেলোয়ারদের নিমন্ত্রণ করে, তখন রঞ্জনকে তার দলের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি। তাদের ক্লাবের নান্টুদার কাছে ইতিপূর্বে রঞ্জন জেনেছিল যে, এই নিমন্ত্রণের অর্থ হল দলের সঙ্গে খেলোয়ারদের সম্পর্ক নিবিড় করে তোলা, আর নিমন্ত্রণ না করার অর্থ দলের কাছে সে অবাঞ্ছিত।
তাই বারপূজার দিনে নিজের স্বর্বস্ব উজার করে দেওয়া ক্লাবের পক্ষ থেকে উপেক্ষিত ও অপমানিত রঞ্জন রাগে ফুঁসছিল।
“রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিল”- কোন্ কথা শুনে রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিল?
“এত দুঃখ, এত ব্যথা সে কখনো পায়নি”- এই দুখ-যন্ত্রণার দিনে কীভাবে অতীতের সুন্দর দিনগুলির কথা রঞ্জনের মনে এসেছে?
“কী করবে ও ঠিক করে ফেলেছে”- এখানে কার কথা বলা হয়েছে? সে কী ঠিক করে ফেলেছে? তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে পরবর্তী সময়ে চলতে পারলো কি?
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে
অষ্টম শ্রেণি বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কঃ
- বোঝাপড়া
- অদ্ভুত আতিথেয়তা
- চন্দ্রগুপ্ত
- বনভোজনের ব্যাপার
- সবুজ জামা
- চিঠি
- পরবাসী
- পথচলতি
- একটি চড়ুই পাখি
- দাঁড়াও
- ছন্নছাড়া
- পল্লীসমাজ
- গাছের কথা
- হাওয়ার গান
- কী করে বুঝব
- পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি
- নাটোরের কথা
- গড়াই নদীর তীরে
- জেলখানার চিঠি
- স্বাধীনতা
- আদাব
- শিকল পরার গান
- হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
- ঘুরে দাঁড়াও
- সুভা
- পরাজয়
- মাসিপিসি
- টিকিটের অ্যালবাম
- লোকটা জানলই না
- বাংলা ব্যাকরণ
- পথের পাঁচালী
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ