দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা গাড়ো পাহাড়ের নীচে

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা গাড়ো পাহাড়ের নীচে

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা গাড়ো পাহাড়ের নীচে থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা গাড়ো পাহাড়ের নীচে প্রশ্নের উত্তরঃ

১) “গারাে পাহাড়ের ঠিক নীচেই সুসং পরগনা”- গারাে পাহাড়ের নীচে রচনা অবলম্বনে সুসং পরগনার নিসর্গ-প্রকৃতি এবং মানুষের জীবনযাত্রার বর্ণনা দাও।

উৎসঃ 

লেখক “সুভাষ মুখোপাধ্যায়” রচিত “আমার বাংলা” গ্রন্থের অন্তর্গত “গারো পাহাড়ের নীচে” রচনা থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

সুসং পরগনার নিসর্গ-প্রকৃতিঃ 

লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় সুনিপুণ দক্ষতায় তার রচনায় সুসং পরগনার নিসর্গ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য চিত্রিত করেছেন- 

রেললাইন থেকে অনেকটা দূরে অবস্থিত সুসং পরগনার রাস্তাঘাট ভালাে নয়। শস্যশ্যামলা উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পাহাড়ি নদী সােমেশ্বরী। এই নদীতে শীতকালে জল খুব কম থাকে। কিন্তু এই নদীর ঠান্ডা জলে এমন স্রোত থাকে যে, তাতে পা ডােবালে মনে হয় কুমিরে দাঁত বসিয়ে যেন পা টেনে নিয়ে যাচ্ছে! ফেরিনৌকোতেই এই অঞ্চলের মানুষজন পারাপার করে। আর ফেরিঘাটের মাঝির মন ভালো থাকলে তার বিহারি মনিবের প্রাচুর্যের সংবাদ পাওয়া যায়। 

মানুষের জীবনযাত্রার বর্ণনাঃ 

পাঠ্য রচনাংশে আমরা গারো পাহাড়ের নিচে বসবাসকারী মানুষদের জীবনযাত্রার পরিচয় লাভ করি। হাজং-গারো-ডালু-মর্গান প্রভৃতি নানা জাতের মানুষ সেখানে বসবাস করে। ভিন্ন জাত হলেও তাদের জীবনধারণের প্রকৃতি প্রায় একই রকমের। এদের মুখেচোখে পাহাড়ি ছাপ। গারোদের ভাষা আলাদা হলেও হাজং-ডালুদের ভাষা বাংলা। তবে আমাদের ভাষার সঙ্গে এদের ভাষার কিছু উচ্চারণের পার্থক্য আছে। তারা ‘ত’-কে ‘ট’, ‘ট’-কে ‘ত’ এবং ‘দ’-কে ‘ড’, ‘ড’-কে ‘দ’ উচ্চারণ করে। তাই তারা ‘দুধ’-কে ‘ডুড’ বলে থাকে। 

গারোদের বসতবাড়িগুলির বিশেষত্ব রয়েছে। তাদের ঘরগুলি মাচার উপর। বন্যজন্তুর ভয়ে মানুষ-গবাদি পশু সবাই এক মাচার উপর থাকে এবং সেখানেই আবার রান্নাবান্না হয়।

এদের সকলের প্রধান জীবিকা চাষবাস। হালবলদ নিয়েই তারা চাষ আবাদ করে। তবে হাজংরাই চাষের ব্যাপারে সবচেয়ে দক্ষ। এই অঞ্চলে তারাই নাকি প্রথমে এসেছিল। চাষবাসে তাদের জুড়ি নেই। তাই পাহাড়ি গারোরা এদের নাম দিয়েছে “হাজং- অর্থাৎ চাষের পোকা”। ছোটোখাটো কোনো টিলায় উঠে নিচের দিকে তাকালে মনে হবে পৃথিবীটা যেন সবুজ- “যতদুর দেখা যায় শুধু ধান আর ধান”। 

এত ফসল আর এত প্রাচুর্য থাকা স্বত্বেও এইসব মানুষদের জীবনে সুখ নেই। ধানকাটার সময় তারা মেয়ে-পুরুষ সবাই কাস্তে নিয়ে মাঠে যায়। ছেলে-বুড়ো সকলে মিলে মনের আনন্দে মাঠের ধান ঘরে নিয়ে আসে। আর তারপরেই আসে জমিদারের পাইক-বরকন্দাজ।

জমিদারের পাওনাগণ্ডা মিটিয়ে যেটুকু অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে সারাবছর খাওয়া চলেনা। তারা মনের দুঃখে যে গান ধরে তাতেই তাদের জীবনের করুণ কাহিনি সুস্পষ্ট হয়- “খালি পেটে তাই লেগেছে ধাঁধা”

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা গাড়ো পাহাড়ের নীচে থেকে আরো কিছু প্রশ্নের উত্তরঃ

“যেন রাবণের চিতা জ্বলছে তো জ্বলছেই”- রাবণের চিতার মতো আগুন কারা, কী উদ্দেশ্যে জ্বালিয়েছিল? এই আগুন তাদের কীভাবে সাহায্য করে?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“গারো পাহাড়ের নিচে” যারা বসবাস করে তাদের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

‘হাতিবেগার’ কী? কীভাবে এটি বন্ধ হয়েছিল?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“তাই প্রজারা বিদ্রোহী হয়ে উঠলো”- প্রজারা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল কেন? কে তাদের বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?