কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর ।। Kolingo Dese Jhor Bristi Prosno Uttor
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর ।। Kolingo Dese Jhor Bristi Prosno Uttor প্রদান করা হলো। আশাকরি কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর ।। Kolingo Dese Jhor Bristi Prosno Uttor আলোচনাগুলির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টিঃ
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি রচনা উৎসঃ
আমাদের আলোচ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” কবিতাটি ষোড়শ শতকের মঙ্গলকাব্যধারার অন্যতম চন্ডীমঙ্গল ধারার বিখ্যাত কবি “কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচনা করেছেন। কাব্যাংশটি তাঁর “অভয়ামঙ্গল” কাব্যের অন্তর্গত। তাঁর “অভয়ামঙ্গল” কাব্যটি “অম্বিকামঙ্গল” বা “কবিকঙ্কণ চন্ডী” নামেও পরিচিত। তাঁর “অভয়ামঙ্গল” কাব্যটি দুটি খন্ডে বিভক্ত; যথাঃ আখেটিক খন্ড ও বণিক খন্ড। “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” অংশটি এই কাব্যের আখেটিক খন্ডের অন্তর্গত, যা মূল গ্রন্থে “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” নামে সংকলিত হয়েছে।
বিষয় সংক্ষেপঃ
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার বিষয়বস্তু নিম্নের ভিডিওতে আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভিডিওটি প্লে করে এই কবিতার সমগ্র বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পারবেঃ
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থঃ
কলিঙ্গ– মধ্য-পূর্ব ভারতের একটি ইতিহাসপ্রসিদ্ধ অঞ্চল। এই অঞ্চলটি এক সময় ওড়িশা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তখন এ অঞ্চলের রাজধানী ছিল কলিঙ্গপত্তন। বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম উপকূলে গঙ্গানদী থেকে গোদাবরী নদী পর্যন্ত এই অঞ্চলের বিতার ছিলো।
কৈল– করিল
ঈশান– ঈশান শব্দের অর্থ মহেশ্বর বা শিব। তবে পাঠ্য কাব্যাংশে ঈশান বলতে উত্তর-পূর্ব দিকের কোণকে বোঝানো হয়েছে। এই কোণের অধিপতি হলেন দেবতা শিব। উত্তর-পূর্ব কোণকে বলা হয় ঈশান, দক্ষিণ-পূর্ব কোণকে বলা হয় অগ্নি, দক্ষিণ-পশ্চিম কোণকে বলা হয় নৈঋত এবং উত্তর-পশ্চিম কোণকে বলা হয় বায়ু।
চিকুর– কেশ বা চুল
নিমিষেকে– নিমেশের মধ্যে
গগন– আকাশ
চারি মেঘ– সম্বর্ত, আবর্ত, পুষ্কর, দ্রোণ এই চার প্রকার মেঘ
নাদ– গর্জন
গণিয়া– বিচার করে
বিপাক– দুর্গতি
রড়– দৌড়
আচ্ছাদিত– আবৃত
হরিত– সবুজ বর্ণ
অষ্ট গজরাজ– ‘অমরকোষ’ গ্রন্থে অষ্ট গজরাজ বলতে আটটি হাতির নাম উল্লিখিত হয়েছে। যথা- ঐরাবত, পুন্ডরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদন্ড, সার্বভৌম এবং সুপ্রতীক। এরা দেবরাজ ইন্দ্রের অষ্ট হাতি। এই অষ্ট হাতি তাদের শুঁড় দিয়ে পৃথিবীকে ধরে রেখেছে বলে মনে করা হয়।
বেঙ্গ-তড়কা– ব্যাঙের মতো হঠাৎ লাফ দেওয়া
করি– হাতি
মহী– পৃথিবী
সোঙরে– স্মরণ করে
জৈমিনি– মীমাংসা দর্শন প্রণেতা মুনি হলেন জৈমিনি। তিনি পঞ্চ বজ্রবারকের অন্যতম। বজ্রপাত হলে সাধারণ মানুষ তাকে স্মরণ করে।
ভুজঙ্গ– সাপ
বুলে– ভ্রমণ করে
নিরবধি– নিরন্তর
আছুক– পড়ে থাকুক
হেজ্যা– পোঁচে যাওয়া
বিদারিয়া– ভেদ করে
মঠ- আশ্রম বা মন্দির
অট্টালিকা– প্রাসাদ
দলমল– টলমল অবস্থা
খান খান– টুকরো টুকরো
ধায়– দৌড়য়
অম্বিকা– ধৃতরাষ্ট্রের মাতা, এখানে দেবী চন্ডী
অম্বিকামঙ্গল– দেবী অম্বিকার পালাগান
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি MCQ:
১) কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার উৎস- চন্ডীমঙ্গল
২) কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার কবি হলেন- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
৩) ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ হয়েছিল- কলিঙ্গদেশে
৪) চারিদিক অন্ধকারে দেখতে না পাওয়ার কারণ হল– সূর্য মেঘে ঢাকা পড়েছিল
৫) দেখিতে না পায় কেহ- অঙ্গ আপনার
৬) আকাশের যে কোণে মেঘ ওড়ে- ঈশান
৭) ‘চিকুর’ বলতে বোঝানো হয়েছে- বিদ্যুৎ
৮) ‘রড়’ কথার অর্থ হল- দৌড় বা ছুট
৯) চারি মেঘ থেকে জল দেয়- অষ্ট গজরাজ
১০) ‘করি-কর’ শব্দের অর্থ হল- হাতির শুঁড়
১১) “পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা______ রজনী” – দিবস
১২) কলিঙ্গদেশের প্রজারা স্মরণ করে- জৈমিনিকে
১৩) ‘সোঙ্গরে’ শব্দের অর্থ হল- স্মরণ করে
১৪) “গর্ত ছাড়ি ভুজঙ্গ ভাসিয়া বুলে জলে”- ‘বুলে’ শব্দটির অর্থ হল- ঘুরে বেরায়
১৫) কবিতায় যে মাসে তাল পড়ার কথা বলা হয়েছে- ভাদ্র
১৬) বীর হমুমান যার আদেশ পান- দেবী চন্ডীর
১৭) শ্রীকবিকঙ্কণ যার গান করেন- দেবী অম্বিকার
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতা থেকে MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে এই লেখাতে ক্লিক/টাচ করতে হবে
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) কলিঙ্গদেশে কখন অন্ধকার নেমে আসে?
উত্তরঃ যখন কলিঙ্গের সমগ্র আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়, তখন কলিঙ্গে অন্ধকার নেমে আসে।
২) আকাশের কোন কোণে প্রথমে মেঘ জমেছিল?
উত্তরঃ আকাশের ঈশাণ কোণে অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব কোণে প্রথমে মেঘ জমেছিল।
৩) ‘চারি মেঘ’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ সম্বর্ত, আবর্ত, পুষ্কর ও দ্রোণ হলো চার প্রকার মেঘ।
৪) ‘রড়’ কী ধরণের শব্দ?
উত্তরঃ ‘রড়’ শব্দটি একটি প্রচলিত লৌকিক শব্দ, যার অর্থ দৌড়ে পালানো।
৫) ঝড়ে শষ্যক্ষেত্রের কী দশা হয়?
উত্তরঃ ঝড়ে শস্যের গাছগুলি সব উলটে পড়ে।
৬) মেঘের গর্জনের ফলে প্রজাদের কী অবস্থা হয়?
উত্তরঃ মেঘের গর্জনের ফলে প্রজারা কেউ কারো কোনো কথা শুনতে পারছিলো না।
৭) কলিঙ্গে নিরবধি কতদিন ধরে বৃষ্টিপাত হয়েছিল?
উত্তরঃ কলিঙ্গে একটানা সাত দিন বৃষ্টি হয়েছিল।
৮) শিলাবৃষ্টি প্রজাদের কী ক্ষতি করেছিল?
উত্তরঃ শিলাবৃষ্টির ফলে প্রজাদের ঘরের চাল ভেদ করে মেঝেতে শিল এসে পড়ে।
৯) বন্যার জলের ঢেউ কীরূপ লাভ করেছিল?
উত্তরঃ বন্যার জলের ঢেউ পর্বতের সমান উচ্চতা লাভ করেছিল।
১০) মঙ্গলকাব্যে যে ভণিতার ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তা কী?
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় কবিরা তাদের পরিচিতি প্রদানের উদ্দেশ্যে পদের শেষে নিজেদের নাম ও পরিচয় উল্লেখ করতেন, একেই ভণিতা বলা হয়।
১) ‘দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার’- কখন এবং কেন এরকম হয়েছিল ?
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে এই ঘটনা ঘটেছিল।
কারণঃ
হঠাৎই কলিঙ্গদেশে ভয়ংকর প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দেয়। আকাশ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। ফলে সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢেকে যায়। কালো মেঘের বুক চিরে ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। অন্ধকার এতটাই ঘন হয়ে ওঠে যে, তা ভেদ করে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার উপায় থাকে না।
২) ‘ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর’- ঈশান শব্দটির অর্থ লিখে উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
ঈশান শব্দের অর্থঃ
ঈশান শব্দের অর্থ উত্তর-পূর্ব কোণ।
তাৎপর্যঃ
কলিঙ্গদেশে আকস্মিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরু হয়। তৈরি হয় বন্যার আশঙ্কা। প্রবল ঝড়বৃষ্টি কলিঙ্গদেশে সর্বনাশ ডেকে আনে। ঈশান কোণে মেঘের ঘনঘটায় চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। প্রজারা সেই অন্ধকারে নিজেদেরকেও দেখতে পায় না। মেঘের বুক চিরে অবিরাম বিদ্যুতের ঝিলিক পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে। উদ্ধৃতাংশটিতে সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের বর্ণনা করা হয়েছে।
৩) ‘নিমিষেকে জোড়ে মেঘ গগন-মণ্ডল’ — নিমিষেকে কথাটির অর্থ কী? গগনমণ্ডলে এর ফলে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হল ?
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
নিমিষেকে কথার অর্থঃ
নিমিষেকে কথাটির অর্থ মুহূর্তের মধ্যে।
সৃষ্ট পরিস্থিতিঃ
অতি অল্পসময়ে কলিঙ্গের আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়। ঈশান কোণে ঘন অন্ধকারের মধ্যে বিদ্যুতের ঝলকে আকাশ কেঁপে ওঠে। মেঘের গর্জন শোনা যায়। মুহূর্তের মধ্যে কালো মেঘ ছেয়ে গিয়ে চারিদিক অন্ধকারে ঢেকে দেয়।
৪) ‘চারি মেঘে বরিষে মুষলধারে জল’- মুশলধারে জলবর্ষণের কারণ কী ?
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
জলবর্ষণের কারণঃ
কলিঙ্গদেশের আকাশ হঠাৎ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। গাঢ় অন্ধকারে নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখতে পান না কলিঙ্গবাসী। ঈশান কোণে ঘন মেঘের জমায়েতে চারদিক অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায়। প্রবল মেঘের গর্জন, ঘনঘন বিদ্যুতের ঝিলিকে পৃথিবী কেঁপে ওঠে। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর আওয়াজ শোনা যায়। মুহূর্তের মধ্যে সারা আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। তারপরই মেঘে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয় কলিঙ্গদেশে।
৫) ‘কলিঙ্গে উড়িয়া মেঘ ডাকে উচ্চনাদ’- কলিঙ্গের অবস্থান উল্লেখ করে উদ্ধৃতাংশটির ব্যাখ্যা করো।
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
কলিঙ্গের অবস্থানঃ
বর্তমান ওড়িশার বেশির ভাগ অংশ, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর ভাগ এবং মধ্যপ্রদেশের কিছুটা অংশ জুড়ে ছিল প্রাচীন এই কলিঙ্গদেশ।
ব্যাখ্যাঃ
কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্লাবনের বর্ণনা করা হয়েছে। কলিঙ্গের আকাশ আচমকা ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। ঈশান কোণে ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গেই কালো মেঘরাশিতে আকাশ ঢেকে যায়। মেঘের প্রবল গর্জনের সঙ্গে শুরু হয় মুশলধারায় বৃষ্টি। সমগ্র কলিঙ্গ মেঘের গুরুগম্ভীর শব্দে কেঁপে ওঠে।
৬) ‘প্রলয় গণিয়া প্ৰজা ভাবয়ে বিষাদ’ – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রজাদের বিষাদের কারণ আলোচনা করো।
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
উদ্ধৃতিটিতে কলিঙ্গদেশের প্রজাদের কথা বলা হয়েছে।
বিষাদের কারণঃ
কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ প্রচুর মেঘ জমাট বাঁধে। ঈশান কোণে জমাটবাঁধা মেঘ সারা আকাশ ঢেকে ফেললে সর্বত্র অন্ধকার নেমে আসে। উত্তরের প্রবল বাতাসে দূর থেকে মেঘের গম্ভীর আওয়াজ ভেসে আসে। মেঘের প্রবল গর্জন ও ঘনঘন বিদ্যুৎচমকের সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টিপাত। মহাপ্লাবনের আশঙ্কায় প্রজারা আতঙ্কিত ও বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
৭) ‘বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়’- রড় শব্দের অর্থ কী ? কোথাকার প্রজারা কী কারণে বিপাকে পড়েছিল ?
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
রড় শব্দের অর্থঃ
রড় শব্দের অর্থ পালিয়ে যাওয়া।
বিপাকে পড়ার কারণঃ
দেবী চণ্ডীর ইচ্ছা অনুযায়ী কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টি বিপর্যয় ডেকে আনে। আকাশ ঘন মেঘে ঢেকে যায়। ঘন অন্ধকারে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার উপায় থাকে না। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গম্ভীর গর্জন ও ঝড়ের তাণ্ডবে সেখানকার প্রজারা বিপদের আশঙ্কায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
৮) ‘জলে মহী একাকার পথ হইল হারা’- কোথাকার পথ কেন হারিয়ে গিয়েছে ?
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
উদ্দিষ্ট পথঃ
উদ্ধৃতাংশে কলিঙ্গদেশের পথ হারিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পথ হারানোর কারণঃ
কলিঙ্গের আকাশে হঠাৎ ঘন কালো মেঘরাশি জমাট বাঁধে আর মেঘের প্রবল গর্জনের সঙ্গে শুরু হয় ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি আর মুশলধারায় বৃষ্টি। মনে হয়, আটটি হাতি যেন প্রবলবেগে জল বর্ষণ করে পৃথিবীকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে সমগ্র কলিঙ্গদেশ জলে ডুবে যায়। জল-স্থলের পার্থক্য মুছে গিয়ে কলিঙ্গদেশে পথ হারিয়ে যায়।
৯) ‘পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজনী’- পরিচ্ছিন্ন শব্দের অর্থ কী? কবি এরকম বলেছেন কেন ?
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
পরিচ্ছিন্ন কথার অর্থঃ
পরিচ্ছিন্ন শব্দটির অর্থ হল বিভেদ বা পার্থক্য।
কবির এরকম বক্তব্যের কারণঃ
দেবী চণ্ডীর ইচ্ছায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। সমগ্র আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। বিদ্যুৎ চমক আর মেঘগর্জনের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। সবুজ শস্যের খেত ধুলোয় ঢেকে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে জল-স্থল একাকার হয়ে পথ হারিয়ে যায়। অন্ধকার এতটাই নিবিড় হয়ে যায় যে দিন এবং রাত্রিকেও কেউ আলাদা করতে পারে না।
১০) ‘চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ’- উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
তাৎপর্যঃ
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতায় দেবী চণ্ডীর নির্দেশে কলিঙ্গদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে। ঘন কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায়। প্রবল মেঘগর্জনে প্রজারা চিন্তিত হয়ে পড়ে। ঝড়ের তাণ্ডবে তারা ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। সবুজ শস্যের খেত ধুলোয় ঢেকে যায়। বৃষ্টি এতটাই তীব্র হয় যে কবি মনে করেন, আটটি দিকের পাহারাদার আটটি হাতি—ঐরাবত, পুণ্ডরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম এবং সুপ্রতীক যেন তাদের শুঁড়ের সাহায্যে চারমেঘে জল দিচ্ছে। আর তার ফলেই প্রবল বৃষ্টিপাতে চারপাশ জলে ডুবে গেছে।
১১) ‘কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোক যে জৈমিনি’- জৈমিনি কে ? কলিঙ্গবাসীর জৈমিনিকে স্মরণের কারণ কী ?
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
জৈমিনির পরিচয়ঃ
জৈমিনি হলেন এক বাক্সিদ্ধ ঋষি। এঁনার নাম স্মরণ করলে বজ্রপাত বন্ধ হয়ে যায়, এই বিশ্বাসে বজ্রপাতের সময় মানুষ এঁর নামকীর্তন করে।
কলিঙ্গবাসীর জৈমিনিকে স্মরণের কারণঃ
কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ ঘন কালো মেঘ জমে ওঠে। আকাশভাঙা মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে মুশলধারায়। মেঘের গম্ভীর গর্জন, ঘনঘন বজ্রপাত, ঝড়ের প্রবল তাণ্ডবে কলিঙ্গবাসী ভীত হয়ে পড়ে। এই ভীষণ বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার আশায় তারা ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে।
১২) ‘না পায় দেখিতে কেহ রবির কিরণ’ – কারা, কেন রবির কিরণ দেখতে পায়নি ?
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গঃ
উদ্ধৃতাংশটিতে ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলিঙ্গবাসীদের কথা বলা হয়েছে।
রবির কিরণ দেখতে না পাওয়ার কারণঃ
কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎই প্রচুর মেঘ জমাট বাঁধে। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর আওয়াজের সঙ্গে শুরু হয় মুশলধারায় বৃষ্টি। কালো মেঘে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় কলিঙ্গবাসীর পক্ষে দিনরাত্রির পার্থক্যও বোঝা সম্ভব হয় না ৷ সাত দিন একটানা প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে তারা একেবারেই সূর্যের আলো দেখতে পায় না।
১৩) ‘ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল’- কীসের কথা বলা হয়েছে ? মন্তব্যটির প্রসঙ্গ আলোচনা করো।
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
উদ্দিষ্ট বিষয়ঃ
কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টির ফলে যে শিল পড়েছিল, এখানে তার কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
কাব্যাংশে বর্ণনা করা হয়েছে যে আকাশ কালো-করা বিপুল মেঘরাশির সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা সৃষ্টি হয় কলিঙ্গে। টানা সাত দিনের একটানা বৃষ্টির সঙ্গে অনবরত শিলও পড়তে শুরু করে। ভাদ্র মাসে তাল পেকে যেমন গাছ থেকে পড়ে যায় ঠিক তেমনিভাবে অত্যন্ত বড়ো আকারের শিল ঘরের চাল ভেদ করে মেঝেতে পড়ে প্রজাদের ঘরবাড়ি সব নষ্ট করে দেয়।
১৪) ‘চণ্ডীর আদেশে ধায় নদনদীগণ’- এর ফলে কী হয়েছে ?
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
ফলশ্রুতিঃ
দেবী চণ্ডীর আদেশে কলিঙ্গের নদনদীগুলি ফুলে ফেঁপে উঠে প্রবাহিত হয়েছে। দেবীর আদেশেই কলিঙ্গে কালো ঘন মেঘের রাশির সঙ্গে বিদ্যুতের ঝলকানি ডেকে আনে প্রচণ্ড বৃষ্টি। সাত দিনের একটানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয় সমগ্র কলিঙ্গদেশ, জল-স্থল সব একাকার হয়ে যায়। দেবীর নির্দেশেই আবার কলিঙ্গের সমস্ত নদনদী ফুলেফেঁপে ধেয়ে আসে। নদনদীর পাহাড়সমান ঢেউয়ের আঘাতে কলিঙ্গদেশের ঘরবাড়ি সব ভেসে গিয়ে ঢেউয়ের মাথায় টলমল করতে থাকে।
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতা থেকে বড়ো প্রশ্নঃ
১) কলিঙ্গদেশে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছিল তা কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো। ৫
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।
কলিঙ্গদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিচয়ঃ
দেবী চন্ডীর ইচ্ছায় ব্যাধ কালকেতু সাত ঘড়া ধন লাভ করে গুজুরাট নগরি নির্মাণ করলে সেখানে প্রজা স্থাপনের উদ্দেশ্যে দেবী চন্ডী পার্শবর্তী কলিঙ্গদেশে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি করেন। আমাদের পাঠ্য কবিতায় আমরা যার পরিচয় লাভ করি।
সমগ্র কলিঙ্গদেশের আকাশ এমনভাবে ঘন কালো মেঘ দ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে যায় যে কেউ কারো মুখ পর্যন্ত দেখতে পায় না। উত্তর-পূর্ব কোণ জুড়ে কালো মেঘ বিদ্যুতের ভয়াবহ চমক সৃষ্টি করে-
“ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর”
উত্তর দিক থেকে প্রবল বাতাস বইতে থাকে ও মুহূর্তের মধ্যে সমগ্র কলিঙ্গদেশের আকাশে বিস্তৃত কালো মেঘে ঢেকে যায়। সম্বর্ত, আবর্ত, পুষ্কর ও দ্রোণ- এই চার প্রকার মেঘের সম্মিলিত বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যায়-
“চারি মেঘে বরিষে মুষুলধারে জল”
মেঘের উচ্চনাদে কলিঙ্গের প্রজারা মহাপ্রলয়ের আশঙ্কায় আশঙ্কিত হয়ে ওঠে। ঝড়ের তান্ডবে প্রজারা নিদের গৃহ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। প্রচন্ড ঝড়ে পথের ধুলো দ্বারা সকল সবুজ আচ্ছাদিত হয়ে যায়। এমনকি ঝড়ের আঘাতে প্রজাদের মজুদ করা শস্য উলটে পড়ে যায়। চার প্রকার মেঘ যেন ঐরাবত, পুন্ডরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম ও সুপ্রতীক নামক অষ্ট গজরাজের সহায়তায় কলিঙ্গের বুকে বৃষ্টিপাতে ব্রতী হয়-
“চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ”
ব্যঙের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাজ পড়তে থাকে। কলিঙ্গদেশের জল-স্থল মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় বলে প্রজারা পথ হারিয়ে ফেলে ও গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে পড়ে জলে ভেসে বেড়াতে থাকে। প্রচন্ড মেঘের গর্জনে কলিঙ্গবাসী নিজেদের কথা পর্যন্ত শুনতে পারছিল না। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে দিন ও রাতের প্রভেদ পর্যন্ত অবলুপ্ত হয়ে যায়-
“পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজনী”
ভীত কলিঙ্গবাসী পরিত্রাণের উদ্দেশ্যে জৈমিনি মুনিকে স্মরণ করতে থাকে। নিরন্তর সাত দিন বৃষ্টিতে ফসল সঠিক ভাবে ঝাড়াই-মাড়াই না হওয়ায় তা পচে যেতে থাকে। প্রজাদের ঘরের চাল ভেদ করে ভাদ্রমাসে তাল পড়ার মতো শিল পড়তে থাকে-
“মেঝ্যাতে পড়য়ে শিল বিদারিয়া চাল
ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল।।”
ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝে দেবী চন্ডীর আদেশে বীর হনুমান কলিঙ্গের সমস্ত মঠ ও অট্টালিকা ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিতে থাকেন। দেবী চন্ডীর আদেশে নদনদীরা কলিঙ্গের উদ্দেশ্যে ধাবিত হলে পর্বতসম ঢেউ কলিঙ্গদেশে আছড়ে পড়ে।
এইরূপে কলিঙ্গদেশে যে প্রাকৃতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছিল তা কলিঙ্গবাসীকে বিপদগ্রস্থ করে তুলেছিল।
১) “প্রলয় গনিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ”- কোন্ দেশের প্রজার কথা বলা হয়েছে? তাদের এমন দুর্দিন কেন তা লেখো। ১+৪=৫
উৎসঃ
কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে। প্রশ্নোক্ত অংশটি এই কবিতার অন্তর্গত।
যে দেশের প্রজাঃ
প্রশ্নোক্ত অংশে কলিঙ্গদেশের প্রজাদের কথা বলা হয়েছে।
দুর্দিনের কারণঃ
এই অংশের জন্য ১ নং প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশটি লেখো।
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতা থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র শিক্ষালয়ের Subscriber-দের জন্যঃ
“কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোক যে জৈমিনি”- জৈমিনি কে? ‘সোঙরে’ শব্দের অর্থ কী? কলিঙ্গের প্রজারা কী কারণে জৈমিনিকে স্মরণ করেছিল?
“অম্বিকামঙ্গল গান শ্রীকবিকঙ্কণ”- ‘অম্বিকামঙ্গল’ ও তাঁর কবি ‘শ্রীকবিকঙ্কণ’-এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ অংশে বর্ণিত প্রাকৃতিক দৃশ্যের বর্ণনা দাও। ২+৩=৫
“বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়”- ‘রড়’ শব্দের অর্থ কী? কোথাকার প্রজার কথা বলা হয়েছে? বিপাকের স্বরূপ বিশ্লেষণ করো। ১+১+৩=৫
কলিঙ্গদেশে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছিল তা কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো। অথবা কলিঙ্গদেশের প্রজাদের দুর্দশার পরিচয় দাও। ৫
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে
নবম শ্রেণির সকল বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক PDF NOTE দেখতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করো
- কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি
- ইলিয়াস
- ধীবর বৃত্তান্ত
- দাম
- নব নব সৃষ্টি
- হিমালয় দর্শন
- নোঙর
- আকাশে সাতটি তারা
- খেয়া
- আবহমান
- চিঠি
- ভাঙার গান
- আমরা
- নিরুদ্দেশ
- রাধারাণী
- চন্দ্রনাথ
- প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি
- বাংলা ব্যাকরণ
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ