শিকল পরার গান কবিতার প্রশ্নের উত্তর

শিকল পরার গান কবিতার প্রশ্নের উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণির বাংলা শিকল পরার গান কবিতার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই শিকল পরার গান কবিতার প্রশ্নের উত্তর অনুশীলন করে তাদের পরীক্ষায় বিশেষভাবে উপকৃত হবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

শিকল পরার গান কবিতার প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) কবি কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ? 

উঃ কবি কাজী নজরুল ইসলাম বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 

২) তিনি কী কী গানের রচয়িতা ? 

উঃ তিনি শ্যামাসঙ্গীত, গজল, দেশাত্মবোধক, ইসলামি প্রভৃতি নানা ধরনের গানের রচয়িতা। 

৩) ‘শিকল পরার গান’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অংশ ? 

উঃ ‘শিকল পরার গান’ কবিতাটি ‘বিষের বাঁশি’ কাব্যগ্রন্থের অংশ। 

৪) ‘শিকল তোদের করব রে বিকল’- কাদের কথা বলা হয়েছে ? 

উঃ এখানে অত্যাচারীদের অর্থাৎ ইংরেজদের কথা বলা হয়েছে। 

৫) ‘ওরে ক্ষয় করতে আসা মোদের’- কী ক্ষয় করার কথা বলা হয়েছে ? 

উঃ বাঁধন ভয়কে ক্ষয় করার কথা বলা হয়েছে।

৬) ‘শিকলডাঙা কল’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? 

উঃ স্বাধীনতাকামী মানুষদের শিকল দ্বারা আবদ্ধ পা-কে শিকলভাঙার কল বলা হয়েছে। 

৭) ‘বন্ধ ঘরের বন্ধনী’- বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ?

উঃ ‘বন্ধ ঘরের বন্ধনী’ বলতে কারাগারকে বোঝানো হয়েছে। 

৮) ‘ভয় দেখিয়ে করবে ভাবছ’- কী করার কথা ভাবা হয়েছে ? 

উঃ ত্রাস দেখিয়ে বিধাতার শক্তিকে হ্রাস করার কথা ভাবা হয়েছে। 

৯) ‘ভয় দেখানো ভূত’ কারা ? 

উঃ অত্যাচারী ইংরেজদেরই এখানে ‘ভয় দেখানো ভূত’ বলা হয়েছে। 

১০) কীভাবে এই ‘ভূত’-দের সর্বনাশ করা যাবে ? 

উঃ ‘মাভৈঃ’ বিজয়মন্ত্র দিয়ে এই ভূতদের সর্বনাশ করা যাবে।  

১১) কীভাবে মৃত্যু জয়ের ফল আনা হবে ? 

উঃ ফাঁসি পরে মৃত্যুজয়ের ফল আনা হবে। 

১২) ‘মুক্তিপথের অগ্রদূতের চরণ বন্দনা’ করতে কী করা উচিত নয় ?  

উঃ ‘মুক্তিপথের অগ্রদূতের চরণ বন্দনা’ করতে ক্রন্দন করা উচিত নয়।  

১৩) ‘শিকল পরার ছল’ বলতে কবি প্রকৃতপক্ষে কী বোঝাতে চেয়েছেন ? 

উঃ ‘শিকল পরার ছল’ বলতে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াটা যে একটা অভিনয়, ছলনা এমনটাই কবি বোঝাতে চেয়েছেন। 

১৪) ‘ক্ষয় করতে আসা মোদের সবার বাঁধন ভয়’- ‘বাঁধন ভয়’ ক্ষয় করতে কারা, কোথায় এসেছেন ?

উঃ বাঁধন ভয় ক্ষয় করতে স্বাধীনতাকামী মানুষেরা কারাগারে এসেছেন। 

১৫) ‘মুক্তিপথের অগ্রদূতের চরণ বন্দনা’- কীভাবে রচিত হয় ?

উঃ কান্না দিয়ে নয়, শিকলের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তার ঝংকারের শব্দ দিয়ে মুক্তিপথের অগ্রদূতের চরণ বন্দনা করা হয়। 

১৬) ‘মোদের অস্থি দিয়েই জ্বলবে দেশে আবার বজ্রানল’- পংক্তিটিতে ‘আবার’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে কেন ?

উঃ পৌরাণিক যুগে যেমন ঋষি দধিচির অস্থি দিয়ে বজ্র নির্মাণ করা হয়েছিল তেমনই আবার স্বাধীনতাকামী মানুষদের অস্থি দিয়ে বজ্র তৈরি হবে। তাঁদের আত্মত্যাগেই দেশের স্বাদীনতা আসবে। একথা বোঝাতেই কবি ‘আবার’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

১৭) অস্থি দিয়ে কেন বজ্রানল জ্বলবে নিজের ভাষায় লেখো। 

উঃ পুরাণ অনুসারে ঋবি দখিচি অসুর বধের জন্য নিজের প্রাণ ত্যাগ করেছিলেন। তাঁর অস্থি দিয়ে যে বজ্র নির্মাণ হয়েছিল তা দিয়েই অসুর নিধন সম্ভব হয়েছিল। বিপ্লবীরাও পরাধীনতা নামক অসুরের বিনাশের জন্য নিজেদের জীবনপণ করেছেন। তাদের জীবনের এই বলিদান আপামর জনগণের মধ্যে যে চেতনা, বজ্রসম ত্যাগ ও শক্তি জাগিয়ে তুলবে তা হয়ে উঠবে বজ্রের ন্যায় এবং তার দ্বারা বজ্রানল জ্বলে উঠবে এবং তা দিয়েই ধ্বংস করা হবে ওই অত্যাচারীদের। 

১৮) ‘সেই ভয় দেখানো ভূতের মোরা করব সর্বনাশ’- কারা ভয় দেখানো ভূত ? কারা তাদের কীভাবে সর্বনাশ করবে ? 

উঃ কবি ‘নজরুল ইসলাম’ তাঁর ‘শিকল পরার গান’ কবিতায় ভারতে শাসন করা অত্যাচারী ইংরেজ জাতিকে ভয় দেখানো ভূত বলেছেন। এই ইংরেজ শাসকরা অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে সারা বিশ্বকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছে। দত্ত ও অহংকারের চূড়ায় বসে তারা ভাবছে বিধাতার শক্তি ও ইচ্ছাকে তারা হ্রাস করে দেবে। এই ভয় বা ত্রাস সৃষ্টি করা শাসক তথা ইংরেজদের অত্যাচারিত স্বাধীনতাকামী মানুষের দল সর্বনাশ করবে, এটা তাদের পণ। এই মুক্তিকামী মানুষের দল ‘মাভৈঃ’ বাণী অর্থাৎ অভয় প্রদান করবে। বিজয় আনার মন্ত্রে শপথ নেওয়া এই অত্যাচারিত মানুষেরা বলহীনকে শক্তি ও সাহস জোগাবে। এর দ্বারা বলীয়ান হয়ে মানুষ এই ত্রাসের শাসনের অবসান ঘটাবে। 

১৯) ‘ভয় দেখিয়ে করছ শাসন’- কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের বিরুদ্ধে মানুষের কী করার কথা কবি বলেছেন ? 

উঃ সাম্রাজ্যবাদী শাসক ইংরেজরা সমগ্র ভারতকে পদানত করেছে ভয় দেখিয়ে, অত্যাচার করে। তাদের শাসনের চাপ সমগ্র ভারতের মানুষের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। শাসক হিসেবে ভারতবাসীর মন জয় করতে তারা চায় নি। তাদের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের দিকেও তারা দেখেনি। শুধুমাত্র শাসন ও শোষণের দ্বারা তারা ভারতবাসীকে পদানত করতে চেয়েছিল।

কবি বলেছেন এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে দেশের মুক্তিকামী মানুষেরা রুখে দাঁড়াতে চায়। যে ভয় দেখিয়ে শাসকের দল মানুষকে পদানত করতে চেয়েছে, মানুষ সেই ভয়েরই টুটি অর্থাৎ গলা টিপে ধরবে। ভয়ের লয় অর্থাৎ ধ্বংস বা বিনাশ করে ছাড়বে। যদি শাসক দল মৃত্যুদণ্ড দেয়, ফাঁসির দড়ি পড়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা হেসে উঠবে, মৃত্যুকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তাকে জয় করবে।

২০) স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তির বাসনা কীভাবে শিকল পরার গান কবিতায় ধরা পড়েছে তা আলোচনা করো। 

উঃ বিদ্রোহী কবি ‘কাজী নজরুল ইসলাম’ রচিত ‘বিষের বাঁশি’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া ‘শিকল পরার গান’ কবিতায় বারবার ধ্বনিত হয়েছে মুক্তির বাসনা। মুক্তির জন্যে মানুষের বলিদানকে তার দুর্বলতা নয়, তার সবলতা রূপেই দেখানো হয়েছে কবিতাটিতে। যে অত্যাচারীরা শিকল পরিয়ে স্বাধীনতাকামী মানুষদের বন্দি করেছে, তারা সেই বন্দিত্বকেই অস্বীকার করে বারবার উচ্চকণ্ঠে গর্জে উঠেছে।

কবিতাটিতে বন্দিত্ব একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ বন্দি হওয়াটাই স্বাধীনতাকামী মানুষের একটা ছলনা মাত্র। ভারতমাতার বন্ধনের কাছে যে এ বন্ধন কিছুই না, সেটাই দেখানো হয়েছে। যাঁরা বন্দি হয়ে কারাগারে আসছেন তাঁরা সর্বদা এই প্রচেষ্টাই করেছেন যে, যতটা সম্ভব এই বন্ধনের ভয় থেকে সকলকে মুক্ত করা যায়। কারণ যারা ভয়কে জয় করতে পারে তারা অত্যাচারের জবাব দিতে ও পারে। যে পায়ে অত্যাচারীরা শিকল বেঁধেছে, একদিন সেই পা দিয়েই শিকল চূর্ণ হবে- এটাই মানুষের ধারণা। যারা সমগ্র জগৎ-এর সবাইকে অত্যাচারের কারাগারে বন্দি করেছে, যারা ভাবছে ভয় দেখিয়ে বিধাতার শক্তিকেও অগ্রাহ্য করবে, সেই বর্বর জাতিদের শেষ করতে হলে সকলকে বিজয়মন্ত্রে দীক্ষিত হতে হবে। বলহীনকে ভয় মুক্ত হয়ে সফল হতে হবে। যে ভয়কে আশ্রয় করে অত্যাচারীরা অত্যাচার করছে, সেই ভয়কেই সবার আগে ধ্বংস করতে হবে। 

ওই ভয়ানক অত্যাচারীদের অত্যাচারকে দুর্বলতায় পরিণত করতে হবে। মৃত্যুকে জয় করতে হবে ফাঁসি গ্রহণ করে। অর্থাৎ ‘হাসি হাসি পরব ফাঁসি’– র মতো স্বাধীনতাকামী মানুষ মৃত্যুকে উপহাস করে মৃত্যুর পরেও অমর হয়ে থাকবে। যে শিকলের শব্দ ধ্বনিত হচ্ছে কারাগারের দিকে দিকে সেখানে কান্না নয়, আরাধনা করা উচিত মুক্তির পথের অগ্রদূতদের। মুক্তির বাসনায় আজ লাঞ্ছিতরাই অত্যাচারীদের জবাব দিতে পারছে। আবার এই বিপ্লবীদের অস্থি দিয়ে নতুন করে নির্মাণ হোক বজ্রের, মুক্তির তীব্র বাসনা এভাবেই বারবার ধরা পড়েছে আলোচ্য কবিতায়।

অষ্টম শ্রেণি বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে

click here

 অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি বিজ্ঞাপন ব্লক করতে এক্সটেনশন ব্যবহার করছেন। এই বিজ্ঞাপন ব্লকার নিষ্ক্রিয় করে আমাদের সমর্থন করুন।

Powered By
Best Wordpress Adblock Detecting Plugin | CHP Adblock

You cannot copy content of this page

Need Help?