মাধ্যমিক বাংলা প্রতিবেদন রচনা

মাধ্যমিক বাংলা প্রতিবেদন রচনা
শিক্ষার্থীরা নিম্নের প্রতিবেদন রচনাগুলিতে টাচ/ক্লিক করে মাধ্যমিক বাংলা প্রতিবেদন রচনাগুলি দেখতে পারবে। কিছুদিন অন্তর অন্তর নতুন নতুন মাধ্যমিক বাংলা প্রতিবেদন রচনা প্রদান করা হবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

প্রতিবেদন রচনাঃ

সহজ অথচ আকর্ষণীয় ভাষায় পরিবেশিত খবর হল প্রতিবেদন। এর ইংরেজি নাম রিপাের্টিং। অবশ্য ব্যাপক অর্থে সংবাদ ছাড়াও সাক্ষাধর্মী লেখা, ফিচার, সম্পাদকীয় রচনা সবই প্রতিবেদন। প্রতিবেদন রচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,তাই প্রতিবেদককে বিশেষ দায়িত্ব ও সচেতনতার সঙ্গে প্রতিবেদন রচনা করতে হয়। সংবাদদাতা কোনাে ঘটনাকে চাক্ষুষ দেখে প্রতিবেদন রচনা করে থাকেন। সেক্ষেত্রে তার সামনে একটা বাস্তব পরিস্থিতি পরিদৃশ্যমান হয়। কিন্তু প্রশ্নপত্র ছাত্রছাত্রীদের যে প্রতিবেদন রচনা করতে দেওয়া হয়, তা একটা কাল্পনিক বিষয়। ছাত্রছাত্রীদের মনে মনে সেই বিষয়টির একটা বাস্তব রূপ দান করতে হবে।‘প্রতিবেদন’শব্দের অর্থ হল বিবরণী বা রিপাের্ট। সাধারণত সংবাদপত্রে খবররূপে প্রকাশের উদ্দেশ্যে কোনাে বিষয়কে যেভাবে উপস্থাপন করা হয় বা তুলে ধরা হয়, তাকেই প্রতিবেদন বলা হয়ে থাকে। যিনি এই প্রতিবেদন রচনা করেন, তাকে বলা হয় প্রতিবেদক।সংবাদপত্রে প্রকাশের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্যান্য কারণেও প্রতিবেদন রচিত হতে পারে। যেমন, কোনাে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের বিভিন্ন কাজের বিবরণ দিয়েও প্রতিবেদন রচিত হয়ে থাকে। সেগুলি ওই প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সদস্যদের সামনে কোনাে সভায় পাঠ করা হয় কিংবা তাদের মুখপত্রে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন নানারকমের হতে পারে। যেমন—রাজনৈতিক, পরিবেশমূলক, খেলাধূলা বিষয়ক, অপরাধ বিষয়ক, অনুসন্ধানমূলক, শিল্পসংস্কৃতি বিষয়ক প্রভৃতি।

 

প্রতিবেদন রচনার নিয়মঃ 

• প্রতিবেদনের ভাষা হবে সহজসরল।

• প্রতিবেদন হবে কোনাে বিষয় বা ঘটনার যথাযথ বিবরণ রচনাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে কল্পনাকে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না।

• নিজস্ব মতামত প্রকাশ বা সমালােচনা করা যাবেনা।

• তথ্যবিকৃতি না ঘটিয়ে প্রতিবেদনটিকে আকর্ষণীয় ও সুখপাঠ্য করে তুলতে হবে।

• বিশেষ কোনাে রাজনৈতিক দল বা ধর্মসম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাত বা বিরূপতা যেন প্রতিবেদনে প্রকাশ না পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

• প্রতিবেদনে অবশ্যই একটি শিরােনাম যােগ করতে হবে।

শিরােনামের মধ্যে দিয়ে প্রতিবেদনের বক্তব্য সম্পর্কে পাঠক যেন আগ্রহী হয়ে ওঠেন, সেকথা মাথায় রাখতে হবে।

• প্রতিবেদনটি আয়তনে যদি বড়াে হয় তাহলে রচনার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রয়ােজনীয় অনুচ্ছেদ-বিভাজন করে নিতে হবে।

• লক্ষ রাখতে হবে প্রতিবেদনে একই কথা যেন বারবার বলা না হয়।

• যে-কোনাে প্রতিবেদনে ভাববাচ্যের প্রাধান্য থাকাই বাঞ্ছনীয়।

• প্রতিবেদন যেন বিভ্রান্তিকর ও সামাজিকভাবে ক্ষতিকর না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

• বিষয়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রতিবেদনের একটি শিরােনাম দিতে হবে।

• পরীক্ষার উত্তরপত্রে প্রতিবেদন রচনা পর্ষদনির্দেশিত শব্দসীমার (কমবেশি ১৫০ শব্দ) মধ্যে রাখা আবশ্যিক।

 

১) প্রতিবেদন রচনা করোঃ 

স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির

হলদিবাড়ীতে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির

নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়িঃ 

গতকাল হলদিবাড়ী বাস ষ্ট্যান্ড ভবনে হলদিবাড়ী সচেতন নাগরিক সমিতির পক্ষ থেকে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিড়ের আয়োজন করা হয়। হলদিবাড়ী সচেতন নাগরিক সমিতির এই মহান কর্মযজ্ঞে এগিয়ে আসে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক বিভাগ। তাদের যৌথ উদ্যোগে গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত হলদিবাড়ী বাস স্ট্যান্ড ভবনে এই রক্তদান শিবিড় অনুষ্ঠিত হয়। হলদিবাড়ী পৌরসভার পুরপিতা এই শুভ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। তিনি ছাড়াও সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হলদিবাড়ি অঞ্চলের বি.ডি.ও, হলদিবাড়ী থানার ও.সি, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের বি.এম.ও.এইচ মহাশয়। গতকাল এই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে মোট ৫৪৩ জন সহৃদয় ব্যক্তি রক্তদান করেছেন। জলপাইগুড়ি ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারীকেরা জানিয়েছেন যে, এই প্রকারের উদ্যোগ তাদের রক্তের চাহিদা অনুসারে যোগান বজায় রাখতে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। ভবিষ্যতে এই প্রকার উদ্যোগ হলদিবাড়ীর বুকে পুনরায় গ্রহণ করা হলে তারা আবারো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। হলদিবাড়ী সচেতন নাগরিক সমিতির সভাপতি উমেশবাবু জানান, “বরাবরই আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে সমাজ কল্যাণে বিবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এবারেও আমরা সেই প্রচেষ্টাই করেছি। হলদিবাড়ীবাসীর এই আগ্রহ আমাদের ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা প্রদান করলো।” 

 

২) প্রতিবেদন রচনা করোঃ 

বিবিধ বিনোদনের রমরমায় হারিয়ে যাচ্ছে বই পড়ার অভ্যাস

বই বিমুখ আধুনিক জনসমাজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়িঃ 

বর্তমান যুবসমাজের কাছে বইয়ের নামান্তর হয়ে উঠেছে পাঠ্যবই। ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, সোশাল মিডিয়ার বিনোদনের যুগে তারা পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে বইয়ের এক বিশাল ভান্ডার রয়েছে তা যেন ভুলতে বসেছে। আর স্বাভাবিক ভাবেই তারা তাদের অবসর সময়ে পত্র-পত্রিকা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ভ্রমণবৃত্তান্ত প্রভৃতি অসংখ্য বইয়ের ভান্ডারকে অবজ্ঞা করে ডিজিটাল বিনোদনের জগতে নিজেদের শৈশব ও যৌবনকে হারিয়ে ফেলছে। শুধু ছোটরাই নয়, বর্তমানে প্রাপ্ত বয়ষ্কদের মধ্যেও বইকে দূরে ঠেলে টিভি, ওটিটি মাধ্যমের বিনোদনে সারাদিনের ক্লান্তিকে দূর করার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে। 

অতিমাত্রায় প্রযুক্তিনির্ভরতা শিক্ষার্থীদের আচরণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশিষ্টজনরা বলছেন, শিশু-কিশোর ও তরুণদের সিলেবাসের সংকীর্ণ গণ্ডি থেকে বের করতে পারে পাঠাগার। দেশে পাঠাগারের সংখ্যা বেড়েছে, বইও বেরোচ্ছে প্রচুর, তবে কমেছে পাঠক। অল্প বয়সীদের বেশির ভাগই বইবিমুখ।

অতীতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বই-প্রেমী মানুষদের উপস্থিতিতে সরগরম থাকত সমস্ত পাঠাগারগুলো। আর বর্তমানে পাঠকের অভাবে এক এক করে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সমস্ত প্রাচীন পাঠাগারগুলি। বইমেলাগুলিও বর্তমানে অনেকাংশেই তাদের জৌলুস হারিয়েছে। 

আগামী প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখাতে, বিনোদনের আড়ম্বরপূর্ণ মেকি জগতের বাইরে বইয়ের অকৃত্রিম বাস্তবের স্পর্শ আজ তাই খুবই প্রয়োজন। বর্তমান আধুনিক সমাজ কি সেই সত্য উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে? এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে কালের গর্ভেই। 

৩) প্রতিবেদন রচনা করোঃ 

বিদ্যালয়ে আয়ােজিত বিজ্ঞান প্রদর্শনী

বিদ্যালয়ে আয়ােজিত বিজ্ঞান প্রদর্শনী

নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়িঃ 

কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি পৌরসভার অন্তর্গত হলদিবাড়ী উচ্চমাধ্যমিক দিদ্যালয়ে সপ্তাহব্যাপী একটি বিজ্ঞান প্রদর্শনী চলছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা,শিক্ষাকর্মী, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের সম্মিলিত উদ্যোগে এই বিজ্ঞান প্রদর্শনীটি প্রতিবছরই যথেষ্ট সুনামের সঙ্গে আয়ােজিত হয়ে থাকে। এ বছর বিদ্যালয়ের তিনটি ঘরে এই প্রদর্শনীর আয়ােজন করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিজ্ঞানের নানা বিষয়ের উপর নিজেদের তৈরি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও মডেল প্রদর্শনীতে রেখেছেন। প্রদর্শনীটির সময় সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এই প্রদর্শনীটিকে ঘিরে প্রতি বছরের মতাে এ বছরেও এলাকায় বেশ সাড়া পড়ে গেছে। ১১ই জুন মাননীয় সাংসদ এই প্রদর্শনীর উদবােধন করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এ ধরনের প্রদর্শনী পাঠ্যবিষয়কে আরও ভালােভাবে বুঝতে সাহায্য করে। ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতার প্রসারেও এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ছাত্রছাত্রীদেরই দিতে চেয়েছেন। আশেপাশের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সমবেতভাবে উপস্থিত হচ্ছে, দীর্ঘ সময় ধরে প্রদর্শনীটি দেখছে এবং চিন্তাভাবনার আদানপ্রদান করছে। আগামী বছর প্রদর্শনীটি আরও আকর্ষণীয় করে তােলার কথা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন রচনা নিম্নে PDF আকারে প্রদান করা হলোঃ

চলে গেলেন বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ- একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

উত্তর দেখার জন্য এই লেখাটিতে টাচ/ক্লিক করতে হবে

খুব শীঘ্রই আরো প্রতিবেদন এই পেজে প্রদান করা হবে। প্রতিবেদনগুলি দেখতে নিয়মিত লক্ষ্য রাখো শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে। 
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ 

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?