
শিক্ষার্থীরা নিম্নের প্রতিবেদন রচনাগুলিতে টাচ/ক্লিক করে প্রতিবেদন রচনাগুলি দেখতে পারবে। কিছুদিন অন্তর অন্তর নতুন নতুন প্রতিবেদন রচনা প্রদান করা হবে।
প্রতিবেদন লেখোঃ
বিবিধ বিনোদনের রমরমায় হারিয়ে যাচ্ছে বই পড়ার অভ্যাস
বই বিমুখ আধুনিক জনসমাজ
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়িঃ
বর্তমান যুবসমাজের কাছে বইয়ের নামান্তর হয়ে উঠেছে পাঠ্যবই। ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, সোশাল মিডিয়ার বিনোদনের যুগে তারা পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে বইয়ের এক বিশাল ভান্ডার রয়েছে তা যেন ভুলতে বসেছে। আর স্বাভাবিক ভাবেই তারা তাদের অবসর সময়ে পত্র-পত্রিকা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ভ্রমণবৃত্তান্ত প্রভৃতি অসংখ্য
বইয়ের ভান্ডারকে অবজ্ঞা করে ডিজিটাল বিনোদনের জগতে নিজেদের শৈশব ও যৌবনকে হারিয়ে ফেলছে। শুধু ছোটরাই নয়, বর্তমানে প্রাপ্ত বয়ষ্কদের মধ্যেও বইকে দূরে ঠেলে টিভি, ওটিটি মাধ্যমের বিনোদনে সারাদিনের ক্লান্তিকে দূর করার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে।
অতিমাত্রায় প্রযুক্তিনির্ভরতা শিক্ষার্থীদের আচরণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশিষ্টজনরা বলছেন, শিশু-কিশোর ও তরুণদের সিলেবাসের সংকীর্ণ গণ্ডি থেকে বের করতে পারে পাঠাগার। দেশে পাঠাগারের সংখ্যা বেড়েছে, বইও বেরোচ্ছে প্রচুর, তবে কমেছে পাঠক। অল্প বয়সীদের বেশির ভাগই বইবিমুখ।
অতীতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বই-প্রেমী মানুষদের উপস্থিতিতে সরগরম থাকত সমস্ত পাঠাগারগুলো। আর বর্তমানে পাঠকের অভাবে এক এক করে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সমস্ত প্রাচীন পাঠাগারগুলি। বইমেলাগুলিও বর্তমানে অনেকাংশেই তাদের জৌলুস হারিয়েছে।
আগামী প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখাতে, বিনোদনের আড়ম্বরপূর্ণ মেকি জগতের বাইরে বইয়ের অকৃত্রিম বাস্তবের স্পর্শ আজ তাই খুবই প্রয়োজন। বর্তমান আধুনিক সমাজ কি সেই সত্য উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে? এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে কালের গর্ভেই।
চলে গেলেন বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ- একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
উত্তর দেখার জন্য এই লেখাটিতে টাচ/ক্লিক করতে হবে