দশম শ্রেণি বাংলা সংলাপ রচনা

দশম শ্রেণি বাংলা সংলাপ রচনা

শিক্ষার্থীরা নিম্নের দশম শ্রেণি বাংলা সংলাপ রচনাগুলিতে টাচ/ক্লিক করে দশম শ্রেণি বাংলা সংলাপ রচনাগুলি দেখতে পারবে। কিছুদিন অন্তর অন্তর নতুন নতুন দশম শ্রেণি বাংলা সংলাপ রচনা প্রদান করা হবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

দশম শ্রেণি বাংলা সংলাপ রচনাঃ 

সংলাপ কী ? 
উঃ সহজে বলতে গেলে সংলাপ হল কথোপকথন। ইংরেজিতে সংলাপকে Dialogue বলা হয়ে থাকে। সাধারণ অর্থে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথনকে কাল্পনিকভাবে আমাদের রচনা করতে হবে।  
বিষদ ব্যাখ্যাঃ 
দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে পারস্পরিক কথাবার্তাই হলো সংলাপ বা কথোপকথন। সংলাপের দ্বারা একটি বক্তব্য বিষয়কে সর্বসম্মুখে তুলে ধরা যেতে পারে । সেই কাজটি করতে গিয়ে সংলাপের উঠে আসে নানা প্রসঙ্গ সমস্ত কিছুই বিষয়টিকেে যথাযথভাবে প্রকাশের সহায়ক হওয়া চাই। 
সংলাপ রচনার নিয়মাবলীঃ 
  • সংলাপ রচনার সময় আমাদের যে বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে সেগুলি নিম্নরূপ- 
  •  যে বিষয়ে সংলাপ রচনা করা হবে সে বিষয়টি সম্পর্কে প্রথমেই ভালোভাবে ভাবনা-চিন্তা করে নিয়ে তারপর রচনা কার্যে অগ্রসর হতে হবে।
  •  বিষয় কেন্দ্রিক সংলাপের বিষয়ে যথাযথ উপস্থাপনা থাকবে তাছাড়া সমস্ত সংলাপের মধ্যে থাকবে একটি সুসংহত সামঞ্জস্যবোধ।
  • বিষয় অনুযায়ী চরিত্র সৃষ্টি করে সংলাপ রচনা করতে হবে। সংলাপের মধ্য দিয়ে চরিত্রের প্রকৃতি প্রতিফলিত হয় আবার চরিত্রের স্বরূপ বুঝে নিয়ে সে অনুযায়ী সংলাপ রচনার প্রয়োজন আছে। একজন বৃদ্ধের মুখে ছেলেমানুষের মতো সংলাপ ব্যবহারে তাকে উন্মাদ বলে মনে হতে পারে  ঠিক সেরকমই শিশুর মুখে বৃদ্ধের মতো সংলাপ ব্যবহার হাস্যকর।
  •  দীর্ঘ বিবরণধর্মী সংলাপ রচনা পরিহার করতে হবে।
  •  সংলাপের ভাষা হবে সহজ,সরল,বোধগম্য, প্রাঞ্জল,সাবলীল ।
  •  বাক্য হবে সংক্ষিপ্ত এবং তাতে গতিময়তা থাকবে ।
  • আয়তনের দিক থেকে সংলাপকে দীর্ঘায়িত না করে যথাযথ। 
  • সংলাপ হবে আন্তরিক, বুদ্ধিদীপ্ত।
  • পূর্ববর্তী সংলাপের সঙ্গে পরবর্তী সংলাপের যোগসূত্র অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।
  •  সংলাপ রচনার ক্ষেত্রে যথাযথ যতি ও ছেদ চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।

 

১) সংলাপ রচনা করোঃ 

বৃক্ষরোপণ-উপযোগিতা বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা করো। 

উঃ

রামঃ দেখলি, আমাদের স্কুলের সামনে এত বড়ো একটা বকুল গাছ কেটে ফেলা হল । শুনলাম ওখানে ফ্ল্যাট বানানো হবে ।

শ্যামঃ আর বলিস না ! মনটা এত খারাপ লাগছে, যে ওদিকে আর তাকাতেই পারছি না । সেই কোন ছোটবেলায় প্রথম স্কুলে আসার দিনটা থেকে গাছটার সঙ্গে বন্ধুত্ব, চেনাশোনা । মনে আছে, ছুটির পরে ওই বিশাল গাছটার নীচে বাঁধানো বেদিটায় চড়ে কত খেলেছি ।

রামঃ সভ্যতার গর্বে উন্মত্ত মানুষ যেন ভুলেই গিয়েছে গাছের অবদান । নগরায়ণের এই হামলে পড়া নেশায় তরাই থেকে সুন্দরবন— সর্বত্রই চলেছে অরণ্যনিধনের এই যজ্ঞ ।

শ্যামঃ কেউ একবার অন্তত এটাও ভেবে দেখবে যে, এতে ক্ষতি আখেরে নিজেদেরই । এই ভয়ানক লোভে তো মানুষের নিজের সভ্যতাকেই ধ্বংস করছে । পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়ছে, মেরুপ্রদেশের বরফ গলে যাচ্ছে, বেড়ে যাচ্ছে পৃথিবীর জল স্তর, নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য— গাছপালা কমে যাওয়ায় অতিবেগুনি রশ্মিও নির্বিরোধে প্রভাব ফেলছে পরিবেশের ওপরে । সব মিলিয়ে নানান অসুখবিসুখের প্রকোপও বেড়েই চলেছে ।

রামঃ শুধু তাই নয়, তুই কি জানিস, বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো দেশের আয়তনের তুলনায় ভূভাগের পরিমাণ যখন ৩৫ শতাংশের নীচে নেমে যাবে, তখনই সেই দেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে । ভারত-সহ পৃথিবীর বহু দেশই এখন এই সমস্যার সম্মুখীন ।

শ্যামঃ  আসলে কী বল তো, ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’— এই বাক্যটিকে নিছক স্লোগান নয়, জীবনযাপনের অনিবার্য শর্ত করে তুলতে হবে । না ইলে এই ভয়ানক ধ্বংসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না ।

 

২) সংলাপ রচনা করোঃ 

মাধ্যমিকের পর কী বিষয় নিয়ে পড়বে এ বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি কাল্পনিক সংলাপ রচনা করো।

রামঃ কী রে পরেশ, এইতো মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলি, বই-খাতা নিয়ে কোথায় চললি?

শ্যামঃ টিউশনে যাচ্ছি। অঙ্কটা পড়তে শুরু করলাম।

রামঃ ও,তার মানে তুই সাইন্স নিয়ে পড়বি ?

শ্যামঃ হ্যাঁ, আমি যেহেতু ডাক্তার হতে চাই তাই সায়েন্স নিয়েই পড়তে হবে। তুই কী নিয়ে পড়তে চাস?

রামঃ আমি আর্টস নিয়ে পড়বো। তুই তো জানিস আমার ইতিহাস পড়তে খুব ভালো লাগে।

শ্যামঃ তাছাড়া তুই তো শিক্ষকতা করতে চাস? স্কুল টিচার না কলেজের অধ্যাপক কী হতে চাস?

রামঃ ইতিহাস অনার্স এবং মাস্টার ডিগ্রি করার ইচ্ছে আছে। তারপর  এসএসসি ,সিএসসি দুটোই দেব। যেকোনো একটা পেলেই হবে।

শ্যামঃ ঠিক আছে ,এই নিয়ে পরে কথা হবে এখন পড়ে আসি।

রামঃ হ্যাঁ, আরেকদিন সময় করে আলোচনা করা যাবে। 

 

৩) সংলাপ রচনা করোঃ

বইমেলার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি কাল্পনিক সংলাপ রচনা করো।

রামঃ কী খবর রাহুল , কেমন আছিস?

শ্যামঃ এই তো ভালো, তোর খবর কী? কাল নাকি  বইমেলায় গিয়েছিলি?

রামঃ হ্যাঁ, গিয়েছিলাম। আমি তো সারা বছরই এই মেলার অপেক্ষায় থাকি।

শ্যামঃ হস্তশিল্প  মেলায় যেতে বললাম গেলি না। এখন একা একাই বইমেলায় চলে গেলি।

রামঃ তুই তো জানিস, আমি শৈশব থেকেই বইপাগল, বইয়ে ডুব দিয়ে আমি পার করতে পারি ঘণ্টার পর ঘণ্টা। 

শ্যামঃ বর্তমানে দেশের এরূপ অসহিষ্ণু ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বইমেলা আয়োজনের যৌক্তিকতা কতটুকু?

রামঃ আসলে আমাদের এরূপ অবস্থা থেকে উত্তরণে একমাত্র সহায়ক হতে পারে বই। কারণ বই মানুষকে সুপথে চালিত করে, মানুষের চিন্তার প্রসার ঘটায়।

শ্যামঃ বইমেলায় বই বিক্রি ছাড়া অন্য কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় কী?

রামঃ মেলায় বই বিক্রির পাশাপাশি  বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেমন গান, কবিতা আবৃত্তি, প্রবন্ধ পাঠ, ক্যুইজ,বক্তৃতা, নতুন বই প্রকাশ প্রভৃতি। 

শ্যামঃ মেলা থেকে কী কী বই কিনলি?

রামঃ জয় গোস্বামী,সমরেশ মজুমদার, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ সাহিত্যিকদের বেশ কয়েকটি বই কিনেছি। ।

শ্যামঃ এরপর গেলে আমাকেও নিয়ে যাস।

রামঃ অবশ্যই নিয়ে যাবো। আমরা দুই বন্ধু একসঙ্গে বইমেলায় গেলে অনেক মজা হবে। 

 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে নিয়মিত আরো সংলাপ রচনা এই ওয়েবসাইটে প্রদান করা হবে। শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সব আপডেট পেতে নিয়মিত ভিজিট করো শিক্ষালয় ওয়েবসাইট। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ 

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?