ধীবর বৃত্তান্ত প্রশ্ন উত্তর ।। Dhibar Brittanto Prosno Uttor

ধীবর বৃত্তান্ত প্রশ্ন উত্তর ।। Dhibar Brittanto Prosno Uttor

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ধীবর বৃত্তান্ত প্রশ্ন উত্তর ।। Dhibar Brittanto Prosno Uttor নাট্যাংশ থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ধীবর বৃত্তান্ত প্রশ্ন উত্তর ।। Dhibar Brittanto Prosno Uttor অনুশীলনের মাধ্যমে পাঠ্য বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।

ধীবর বৃত্তান্ত প্রশ্ন উত্তর ।। Dhibar Brittanto Prosno Uttor: 

ধীবর বৃত্তান্ত নবম শ্রেণি বাংলা রচনার উৎসঃ

মহাকবি কালিদাসের “অভিজ্ঞানশকুন্তলম্‌” নাটকের ষষ্ঠ অঙ্কের নির্বাচিত অংশ আমাদের পাঠ্য “ধীবর বৃত্তান্ত” নাট্যাংশ রূপে স্থান লাভ করেছে। 

ধীবর বৃত্তান্ত নবম শ্রেণি বাংলা বিষয় সংক্ষেপঃ

একজন ধীবর তার জালে ধরা রুই মাছের পেটে রত্নখচিত একটি আংটি লাভ করে; যাতে রাজা দুষ্মন্তের নাম খোদাই করা ছিলো। শক্রাবতারে বসবাসকারী সেই ধীবর আংটিটি বিক্রি করতে সচেষ্ট হলে সে দুই নগর রক্ষী সূচক ও জানুকের হাতে ধরা পড়ে। তারা সেই ধীবরকে নগর রক্ষার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত রাজশ্যালকের কাছে নিয়ে আসলে ধীবরের মুখে সকল কথা শুনে রাজ শ্যালকের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তিনি তার মনের সন্দেহ দূর করতে সেই ধীবরকে রাজা দুষ্মন্তের কাছে নিয়ে আসেন। 

রাজা দুষ্মন্ত সেই আংটিটি দেখে চিনতে পারেন এবং তার ভুলে যাওয়া স্মৃতি তিনি ফিরে পান। রাজা দুষ্মন্ত উদাস মনে সেই আংটির দিকে তাকিয়ে থাকেন। ধীবরের প্রতি খুশি হয়ে রাজা তাকে সেই আংটির সমপরিমাণ অর্থ প্রদানের অঙ্গীকার করেন এবং তাকে মুক্ত করার আদেশ তিনি রাজ শ্যালককে দেন। ইতিপূর্বে ধীবরের অপরাধ সম্পর্কে সুনিশ্চিত দুই নগর রক্ষী সূচক ও জানুক তার মৃত্যুদন্ডের প্রত্যাশায় থাকায়, স্বভাবতই প্রাথমিকভাবে রাজার সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে গ্রহণ করে নি। কিন্তু ধীবর তার প্রাপ্ত অর্থ থেকে অর্ধেক রক্ষীদের দিতে চাইলে তারা ধীবরের উপর প্রসন্ন হয়ে ওঠেন। ধীবরের সততা ও সাহসীকতায় মুগ্ধ রাজ শ্যালক তাকে বন্ধুর মর্জাদা প্রদান করেন।   

ধীবর বৃত্তান্ত নবম শ্রেণি বাংলা শব্দার্থঃ

শ্যালক= স্ত্রীর ভ্রাতা

ধীবর= মাছ ধরে বিক্রি করা যাদের পেশা 

মণিখচিত= বহুমূল্য পাথর বসানো অলংকার 

সদ্‌ব্রাহ্মণ= সদাচারী ব্রাহ্মণ 

শক্রাবতার= একটি স্থানের নাম 

বাটপাড়= ঠক্‌, প্রতারক 

সূচক= প্রথম রক্ষীর নাম

জানুক= দ্বিতীয় রক্ষীর নাম

পূর্বাপর= আগাগোড়া

বৃত্তি= পেশা 

পরিত্যাগ= ছেড়ে দেওয়া

গোসাপ= চার পা যুক্ত নকুলের মতো প্রাণী 

অনুসন্ধান= খোঁজখবর নেওয়া 

বেদজ্ঞ= বেদ জানেন যিনি

গাঁটকাটা= পকেটমার

নিশপিশ= চঞ্চলতা 

হুকুমনামা= আজ্ঞাপত্র 

পারিতোষিক= বকশিশ বা পুরষ্কার 

বিহ্বল= ব্যাকুল 

ধীবর বৃত্তান্ত নবম শ্রেণি বাংলা MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ

১) ধীবর বৃত্তান্ত নাট্যাংশটি বাংলায় তর্জমা করেছেন- সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী 

২) রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে বিবাহ করেছিলেন- মহর্ষি কণ্বের অনুপস্থিতিতে

৩) শকুন্তলা অভিশাপ পায়- ঋষি দুর্বাসার থেকে

৪) যার অনুরোধে ঋষি দুর্বাসা শকুন্তলার শাপের প্রভাব দূর হওয়ার পথ বলে দেন- সখী প্রিয়ংবদার

৫) শকুন্তলার কাছে ভবিষ্যতের স্মারকচিহ্ন রূপে ছিলো- দুষ্মন্তের দেওয়া আংটি

৬) শকুন্তলার আংটি খুঁজে পান- এক ধীবর

৭) ধীবর যে অঞ্চলে বসবাস করতো তার নাম- শক্রাবতার 

৮) “একে পূর্বাপর সব বলতে দাও। মধ্যে বাধা দিও না”- যাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে- দ্বিতীয় রক্ষী (জানুক) 

৯) “তা তোর জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি”- যে জীবিকার বিষয়ে বলা হয়েছে- মৎস্য শিকার  

১০) “__________ স্বভাবে দয়াপরায়ণ হলেও যজ্ঞীয় পশুবধের সময় নির্দয় হয়ে থাকেন।” – বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ 

১১) “এর গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসছে”- অতএব এ জেলে অবশ্যই- গোসাপ খায় 

১২) ধীবরকে মারার আগে পরানোর জন্য মালা গাঁথতে হাত নিশপিশ করছিল- প্রথম রক্ষীর 

১৩) “হয় তোকে শকুনি দিয়ে খাওয়ানো হবে, না হয় কুকুর দিয়ে খাওয়ানো হবে”- বক্তব্যের পরে প্রবেশ ঘটে- রাজ শ্যালকের 

১৪) “এই জেলে যমের বাড়ি গিয়ে আবার ফিরে আবার ফিরে এলো”- উক্তিটির বক্তা হল- জানুক

১৫) “এ যে শূল থেকে নামিয়ে একেবারে হাতির পিঠে চড়িয়ে দেওয়া হলো”- আংটির সমমূল্যের অর্থ রাজা ধীবরকে দেন 

১৬) ধীবরকে বন্ধু বলে মেনে নিলেন- রাজ-শ্যালক 

ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশ থেকে MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের ছবিতে টাচ/ক্লিক করতে হবে

class twelve bengali mcq mock test ধীবর বৃত্তান্ত নবম শ্রেণি বাংলা থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) “যে বৃত্তি নিয়ে যে মানুষ জন্মেছে, সেই বৃত্তি নিন্দনীয় (ঘৃণ্য) হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়।”- উক্তিটি কার? কোন্‌ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটিতে যে দর্শন ফুটে উঠেছে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। ১+২+২

উৎসঃ

সংস্কৃত পন্ডিত “কালিদাস” রচিত “অভিজ্ঞান-শকুন্তলম্‌” নাটকের সংক্ষিপ্ত বাংলা অনুবাদ “ধীবর-বৃত্তান্ত” থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।

বক্তাঃ

উদ্ধৃত অংশটির বক্তা হল নাট্যাংশের কেন্দ্রীয় চরিত্র পেশায় মৎস্যজীবী শক্রাবতারে বসবাসকারী ধীবর।

প্রসঙ্গঃ

ধীবরের কাছে রাজ-নামাঙ্কিত আংটির সন্ধান লাভ করায় দুই রক্ষী ও রাজশ্যালক তাকে ‘চোর’ অপবাদ দেন। তার জাত ও পেশা সম্পর্কে সন্দিহান রাজশ্যালক ধীবরের পেশার প্রতি তাচ্ছিল্য করে তার পেশাকে ‘বেশ পবিত্র’ বলে শ্লেষ করেন। তার এহেন বিদ্রুপের প্রত্যুত্তরে ধীবর প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছে।

দর্শন চিন্তাঃ

আত্মসন্মানী ধীবর রাজশ্যালকের বিদ্রুপ বাক্যকে মেনে নিতে পারে নি। “Work is worship” আদর্শে বিশ্বাসী ধীবরের কাছে কোন কাজই ছোট নয়। তার কর্মক্ষেত্রে সে জাতের বিচারকে প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষপাতী নয়। তাই আত্মপ্রত্যয়ী ধীবর নির্দিধায় রাজশ্যালককে বলতে পেরেছে- “বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ স্বভাবে দয়াপরায়ণ হলেও যজ্ঞীয় পশুবধের সময় নির্দয় হয়ে থাকেন।”

অর্থাৎ পেশার জন্য সে যে প্রাণীহত্যা করে থাকে তাকে কখনোই অমানবিক বলা যায় না। অতএব বলা যায় যে, ধীবর তার পেশাকে সম্মান করে বলেই রাজশ্যালকের প্রতি প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছে।  

২) “ধীবর বৃত্তান্ত” নাট্যাংশে দুই রক্ষীর কথাবার্তায় সমাজের কোন ছবি ফুটে উঠেছে?

উৎসঃ

সংস্কৃত নাট্যকার “কালিদাস” রচিত “অভিজ্ঞান-শকুন্তলম্‌” কাব্যনাটকের ষষ্ঠ অঙ্ক থেকে আমাদের পাঠ্য “ধীবর-বৃত্তান্ত” নাট্যাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে, যার বাংলা তর্জমা করেছেন “সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী”

রক্ষীদ্বয়ের বার্তালাপে প্রাপ্ত সমাজচিত্রঃ

সাহিত্য হলো সমাজের দর্পণ। তাই সাহিত্যের প্রেক্ষাপটে ও চরিত্রের মধ্য দিয়ে সমসাময়ীক সমাজ প্রতিফলিত হয়। এই নাট্যাংশেও তার স্বল্প পরিসরে নগররক্ষায় নিযুক্ত রক্ষীদ্বয় জানুক ও সূচকের চরিত্ররেখা যথেষ্ট স্পষ্ট ও বৈশিষ্ট্যময়। তাদের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে আমরা তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে সবিশেষ ধারণা লাভ করি।

একজন সাধারণ প্রজা ধীবরের প্রতি রাজরক্ষীদের নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণের পরিচয় আমরা লাভ করি। ধীবরকে তারা চোর, বাটপাড়, গাঁটকাটা প্রভৃতি বলে সম্বোধিত করেছে, যার মধ্য দিয়ে তৎকালীন সমাজে নীচু শ্রেণির মানুষের প্রতি সমাজের উচ্চ বর্ণের মানুষের তাচ্ছিল্যপূর্ণ মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে। নির্দোষ ধীবরের কোন কথাকেই তারা মান্য করতে চায় নি- “তবে কি তোকে সদ্‌ ব্রাক্ষ্মণ বিবেচনা করে রাজা এটা দান করেছেন?”

সমাজের উচ্চ বর্ণের মানুষেরা নিম্ন বর্ণের মানুষদের জীবন-জীবিকাকে যে অবহেলা করেন ও কিছুটা বিদ্বেষের চোখে দেখেন তার প্রমাণ আমরা পাই রক্ষীদের কথার মধ্যে- “জানুক, একে মারার আগে ফুলের মালা পরানো হবে, তা গাঁথতে আমার হাত দুটো নিশপিশ করছে।”

আবার যখন রাজা ধীবরকে নির্দোষ ঘোষণা করে তাকে পুরষ্কার প্রদানের অঙ্গীকার করেন তখন তার প্রতি রক্ষীদের আচরণ পরিবর্তনের মধ্যে সমাজের সভ্য মানুষের হিংসা-লোভের মানসিক প্রবৃত্তিকে নির্দেশ করেছে- “এ যে শূল থেকে নামিয়ে একেবারে হাতির পিঠে চড়িয়ে দেওয়া হলো।” যখন ধীবর তার পারিতোষিকের অর্ধেক ভাগ তাদের প্রদান করতে চেয়েছে তখন তারা তা গ্রহণ করতে কুন্ঠিত হয় নি। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা সমাজের স্বার্থপরতার দিকটি সম্পর্কে অবহিত হই।

অতএব আলোচনার পরিশেষে আমরা বলতে পারি, দুই রক্ষীর কথোপকথনের মধ্য দিয়ে আমরা তৎকালীন সমাজ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করি।

ধীবর বৃত্তান্ত নবম শ্রেণি বাংলা থেকে আরো কিছু বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ 

“যে বৃত্তি নিয়ে যে মানুষ জন্মেছে, সেই বৃত্তি নিন্দনীয় (ঘৃণ্য) হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়।”- উক্তিটি কার? কোন্‌ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটিতে যে দর্শন ফুটে উঠেছে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। ১+২+২

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশ অবলম্বনে ধীবর চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো। ৫

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“তা তোর জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি”- উদ্ধৃতাংশের বক্তা কে? কাকে উদ্দেশ্য করে এই উক্তি? এই উক্তির মধ্যে যে শ্লেষ আছে কাহিনি অবলম্বনে তা লেখো। ১+১+৩

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

নবম শ্রেণির সকল বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক PDF NOTE দেখতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করো 

bangla pdf note

নবম শ্রেণি বাংলা নোটঃ 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

You cannot copy content of this page

Need Help?